Sunday, July 17, 2011

বাভাস৤বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা৤ ১ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা৤

 
বাভাস-- বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা৤ 
১ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যা৤




অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -->OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -->OK
  --> OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤




 দ্বিতীয় সংস্করণ, জুন-২০১১






বাভাস






মোদের দাবি একটাই


সকল কাজে বাংলা চাই





সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে নীচের লিংক থেকে ফন্ট ডাউনলোড করে নিন৤ অহনলিপি ফন্টটি নিজের উইন্ডোজ ফন্ট ফোল্ডারে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে নিতে হবে৤ প্রথমে পড়ে নিন









Read me First ফাইলটি৤






বাংলাভাষা

সমিতির পত্রিকা





বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা



ইন্টারনেট:
http://banglabhashasamiti.blogspot.com/







স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া
পিকনিক গার্ডেন শাখা
কোলকাতা-- ৭০০ ০৩৯
শাখা উদ্বোধনের তারিখ ২৮/০৪/১৯৭৮

কাজের সময়:সোম থেকে শনি সকাল ১০ - বিকেল ৪টা
শনিবার: সকাল ১০টা - দুপুর ১টা৤
ব্যাংকের উলটো দিকে এটিএম ২৪ঘণ্টা খোলা থাকে৤
প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র(পরিচয় ও বাসস্থান) প্রদান সাপেক্ষে সেভিংস, রেকারিং, ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি এ্যাকাউন্ট খোলা যায়৤

এখানে কোর ব্যাংকিং-এর যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়৤ এছাড়াও আর.টি.জি.এস, এবং এন.ই.এফ.টি সুবিধাও এখান থেকে পাওয়া যায়৤

জানিয়েছেন বর্তমান ব্রাঞ্চম্যানেজার
পার্থসারথি রায়৤
===========================


বাঙালিত্ব ও বাংলাভাষা নিয়ে সমস্যা--
সূর্যাংশু ভট্টাচার্য

২১শে ফেব্রুয়ারি ২০১১ ঢাকায় প্রকাশিত৤

বইখানির মূল্য ১৫০/- লেখকের কাছ থেকে কিনলে ৩০/- টাকা ছাড় দেওয়া হবে বলে লেখক জানিয়েছেন৤

মো:৯০৫১ ০৩১৪ ৪১                  কোলকাতা-২৯

 ===========================

সাহিত্যের ইয়ারবুক

প্রতি বছর প্রকাশিত হয়৤ বাংলা সাহিত্যের তথ্যভাণ্ডার

লেখক কবি শিল্পীদের নাম ঠিকানা, ফোন, ইমেল ইত্যাদি পাওয়া যায়৤ যেকোনও লেখক কবি তাঁদের নাম ঠিকানা ইয়ারবুকের সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন৤

এরই সহযোগী প্রকাশনা ’ইয়ারবুক বার্তা‘ প্রতি তিনমাসে প্রকাশিত হয়৤

সম্পাদক: জাহিরুল হাসান
রিপল্‌স ৫-এফ, ১৫ কবিতীর্থ সরনি, কোলকাতা-২৩
মো:৯৮৩০ ৪৬৩৬ ৮৬
---------------------------------------------------------

বাভাস আপনারও পত্রিকা -- আমাদের দ্বার অবারিত

সবাই আসুন, সবাই লিখুন, সবাই নিজের মতামত দিন৤



বাভাস-২

























বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা


জুন-২০১১



          আমরা ইতিমধ্যে দুটি সংখ্যা বের করেছি, তার দুটোই আমরা বিনামূল্যে বিতরণ করেছি৤ যাঁরা পাননি তাঁরা দয়া করে আমাদের কাছ থেকে তা সংগ্রহ করে নেবেন৤
          প্রথম সংখ্যাটি উদ্বোধন করা হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারি ”আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস“কে  সামনে রেখে৤ দ্বিতীয় সংখ্যাটি প্রকাশ করা হয়েছে ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে৤ বর্তমান সংখ্যাটি আমরা বের করছি ’বাংলাভাষা সমিতি‘র প্রতিষ্ঠার জুন মাসকে সামনে রেখে৤ এটি আমাদের জন্মদিন সংখ্যা৤
          যাঁরা আমাদের পাঠক তাঁদের কাছে বিনীত নিবেদন আপনারা পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাগুলি পড়ে তা নিয়ে আলোচনা করুন৤ শুধু তাই নয় আপনারাও লিখুন গল্প কবিতা প্রবন্ধ নাটক রসরচনা বিজ্ঞান বাণিজ্য যেকোনও কিছু নিয়ে৤ সম্পাদক মন্ডলীর মনোনীত হলে তা প্রকাশিত হবে৤ শুধু আমরা প্রত্যক্ষ রাজনীতি সামলাতে পারব না, তাই সেরকম লেখা না পাঠানোই ভালো৤ 
          পত্রিকায় যেভাবে লেখাগুলির হরফ গাঁথা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৤ এ রকম প্রশ্ন যে উঠবে তা আমরা অনুমান করেছিলাম, কারণ সাধারণ লেখালিখির থেকে এটা একটু ভিন্নরকম৤ এবিষয়ে পাঠকেরা ঠিক কী বলতে চান তা আমাদের লিখে পাঠালে আমরা তার সাধ্যমতো জবাব দেব৤ আপাতত বলা যাক বাংলা লেখাকে আমরা স্বচ্ছ করতে চাই৤ যেন কম বয়সিরাও এটা সহজে পড়তে পারে, বড়রা তো পারবেনই৤ এটি হল সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্টে কম্পিউটারে গ্রথিত৤ বাংলা এখন বিশ্বের দরবারে শির সমান উঁচু করে হাজির৤ মুখ কাঁচুমাচু করার দিন আর নেই৤
          আমরা স্মরণ করি ১৯শে মে আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলাভাষার জন্য শহিদ হওয়া ১১টি প্রাণকে৤ তাঁদের প্রণাম জানাই৤ ১৯৬১-তে রবীন্দ্রজন্ম শতবর্ষে বাংলাভাষার দাবিতে তাঁদের শহিদ হতে হয়েছিল৤ এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৫০টি বছর, এখন চলছে রবীন্দ্রনাথের দেড়শত বার্ষিকী৤ প্রতিকার কিছু হয়েছে কি? অবিচার কমেছে কি?



বাভাস-৩
















সার্ধশতবর্ষে
মানস চক্রবর্তী


তোমার অতুল কীর্তিস্পর্শে,
সম্মোহিত বিশ্ব আজও সার্ধশতবর্ষে৤
বিশ্বমানব, বিশ্বকবি, বিশ্বপথিক তুমি
যাবৎ বিশ্বসংসার ছিল তব বিচরণভূমি৤
বিরহ-ভক্তি, রাগ-অনুরাগ,
মানব-মনের সকল বিভাগ
          --এড়ায়নি তব দৃষ্টি,
প্রেম-পূজা, প্রকৃতি-স্বদেশ,
গীতাঞ্জলির সুরের আবেশ
          --অপরূপ তব সৃষ্টি৤
প্রবন্ধ ও ছোট বড় গল্প-উপন্যাসে,
গীতিনাট্য ও চিত্রকলার নিপুণ বিন্যাসে,
          -- মানব মনে রইবে তোমার
                       চিরদিনের ঠাঁই৤


বঙ্গবাসীর নয়নমণি,
ভূভারতে ধনীর ধনী;
          --সকলগুণীর সম্মিলনেও
                    তোমার জুড়ি নাই৤
পারবে না কেউ থাকতে ভুলে,
তোমায় তোমার পূজার ছলে,
--করতে হবে স্মরণ তোমায়
          সকল বিষাদ হর্ষে,
এমনিধারা আরও অনেক
               সার্ধশতবর্ষে৥





(পত্রিকার উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে কবি কর্তৃক পঠিত)
---------------------------------------------------------
কৌতুকী--

-- ও টেঁপি, কোতায় যাচ্চিস লা?
-- ডাক্তারের কাছে পিসি
-- ডাক্তারের কাছে? বাঃ, ভালোই হল৤ তা তুই যখন যাচ্চিসই আমার প্রেসারটাও একটু দেখিয়ে আসিস মা৤
-- সে কী করে হবে পিসি৤ ডাক্তারের কাছে নিজে যেতে হবে তো!
-- অমন করিসনি লক্ষ্মীটি, সেদিন ভুতো কেমন সুন্দর দেখিয়ে এলো যে? আমি তোকে পয়সা দিয়ে দেব৤ আর ডাক্তাররাও হয়েছে তেমনি, হ্যাঁ গা, পয়সা ছাড়া কতাই বলে না?
 
বাভাস-৪




বাংলা আমার মায়ের আঁচল
স্বপন বিশ্বাস

ফেলে আসা সেই বকুল ছায়া-
তোর সাথে এক্কা দোক্কা৤
তোর সাথে খুনসুটি,
তোর সাথে দাঁতকপাটি৤
লাল টিপ টিপ বিকেল আলো-
তোর কপালে মানায় ভালো৤
নদীর জল আর সবুজ ঘাসে,
তোর মুখেরই আদল ভাসে৤
বাদলা দিনে একলা ঘরে-
তোকেই কেবল মনে পড়ে৤
মেঘ গুড় গুড় পুব আকাশ৤
লাগল পাতায় দমকা বাতাস৥
আম কুড়ানো ঝড়ের বেলা,
নদীর বুকে সাঁতার খেলা৤
আকাশ বাতাস নদীর পাড়-
আমিই রাজা, সব আমার৤
ফাগুন এলে আগুন জ্বলে
শিমুল পলাশ ডালে ডালে৥
কোকিল কুহু সোহাগসুরে,
মন উদাসী কোন সুদূরে৥
বাবুই ঘরে জোনাক জ্বলে৤
সাঁঝের আলো তুলসীতলে৥
চাঁদ ওঠে যেই পুব আকাশে৤
মন ভেসে যায় মেঘের দেশে৥
বাংলা আমার মায়ের আঁচল৤
বাউল গানে হৃদয় পাগল৥
বাংলা আমার আঁতুড় ঘর,
রাম রহিম নইকো পর৤
পরান মাঝি বাঁকের মুখে -
সুর তুলে যায় নদীর বুকে৤
(মাগো) জনম দিও তোমার কোলে৤
বাংলায় কথা কইব বলে৥
 
--------------------------------------------------------
   
পত্রিকা সংগ্রহ ও লেখা জমা দেবার জন্য৤
যোগাযোগ:

শিবরঞ্জন মণ্ডল, সদস্য, বাংলাভাষা সমিতি,
হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশন

১১টা- ১টা৤







বাভাস-৫




 
পিতু
পরিমল রায়

ছোট্ট দুখানি হাত নেড়ে বলে
এচো এচো, বচো বচো
সোফায় চেয়ারে হাত রেখে বলে
বচো বচো এচে৤
পিতি পিতি--পিতু চা বিকু৤
চা এলে বলে দাও দাও ভিজু ভিজু
তার মানে বিস্কুট ভিজিয়ে দাও তাকে৤
ছোট খুকু হাসিতে জড়িয়ে ধরে মাকে
বকুনির ইচ্ছেটা থেমে যায় ফাঁকে৤
টিভিতে নাচ দেখে
দুখানি ছোট হাত তুলে তালে তালে নেচে
ভরিয়ে দেয় মন, ঘরের সবাকে৥


আমের গন্ধে মন মাতাল করে...                
ছবি : শেখ হাসান
নিউজবাংলা, ওয়াশিংটন, আমেরিকা থেকে
সংগ্রহ করা
 
===========================

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস৤



মানুষ বা অন্য যেকোনও জীব, উদ্ভিদ, জলজ প্রাণী তথা পৃথিবীর যেকোনও প্রাণের পক্ষে দিনটি
 
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৤

আমরা কী করতে পারি এজন্য? আমরা সবচেয়ে সহজে যা করতে পারি তা হল-- জল খরচ কম করা, একটুকু জলও অপচয় না করা৤ বলা হয় যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে জল নিয়ে৤ বিদ্যুৎ ব্যবহার কম করা৤ প্ল্যাস্টিক কম ব্যবহার করা৤ এমনি ধরণের সাধারণ কাজগুলিও বিশ্ব পরিবেশ রক্ষার পক্ষে খুবই জরুরি৤ পরিবেশকে  রক্ষা না-করলে আমরা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাব৤


বাভাস-৬







শহরে গাছ
সনৎ মুখার্জি
দুটি অট্টালিকার ফাঁকে
          পতিত জমিতে
          মাটিতে গজিয়ে ওঠা
          উদ্ধত শির আলো খোঁজে
     বেড়ে ওঠার তাগিদে৤
চারাগাছ বড়ো হবে,
শিকড় ছড়াবে মাটিতে
          ইট, কাঠ, পাথরের মাঝে
                   সবুজের প্রাণ
          টেনে আনবে বৃষ্টি৤
মানুষের মনে বসন্ত জাগবে,
নীপশাখে পাখি ডাকবে,
                   ফুল ফুটবে,
          প্রজাপতিও বসবে;
তরুণ তরুণী-- আনমনে
                   পাতায় হাত বোলাবে৤
ছোট্ট জীবন
             সৌরভ ছড়িয়ে
             ছাতার মত
সেজে থাকে শহরের জীবনে৤
          চায় নিজে বাঁচতে,
          অপরে বাঁচাতে৤


=========================


উর্দু থেকে অনুবাদ:শিবরঞ্জন মণ্ডল
অভয়
খাজা মীর (দর্দ)
ভুল ধারণার মানে           কিছু তবু আছে৤
সঙ্গীবিহীন সঙ্গ            কিছু তবু আছে৥
গতানুগতিক মন            বেশ তো চলেছে৤
কখনো অহিতে হিত       কিছু তবু আছে৥
সৈনিক সখার অসি         কবে খোয়া গেছে,
জংধরা তলোয়ারেও         উপযোগ আছে৥
অধুনা আমার হাল           বেহাল হয়েছে,
কাজে আর ভাবনায়         ভেদ কিছু আছে৥
’আরো চাই‘, ’আরো চাই‘,  মন যে বলেছে,
নির্দয় হৃদয় কভু             দয়ার্দ্র হয়েছে৥
আজীবন লোকসান         যত যত আছে,
সে অসহ অভিশাপে       লাভ তবু আছে৥

বাভাস-৭





বাংলা লেখা কেমন হবে
মনোজকুমার দ. গিরিশ 

কিছু কথা


 ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে যখন পঃবঙ্গ বাংলা আকাদেমি তৈরি হতে যাচ্ছে তখন সরকারি উদ্যোগে একটি বড় সেমিনার হয় ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে৤ বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা নিয়ে সেখানে বলার জন্য আমার ডাক পড়ে৤ কারণ তার আগে ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ দৈনিক সংবাদপত্র ’আজকাল‘-এ বাংলা ইঞ্জিনিয়ারিং বর্ণমালা নিয়ে আমার একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়৤ সেই সূত্রেই তাঁরা আমাকে ডাকেন৤ আমি আমার পেপারটি পড়ি৤ লেখাটিতে যুক্তবর্ণ নিয়ে যে মূল ধারণাটি প্রকাশিত হয় সেটি পরে বাংলা আকাদেমির বানান অভিধানে কিয়দংশে প্রতিফলিত হয়৤ সেখানে যেভাবে যুক্তবর্ণ লেখা হয় তা অনেকখানিই সরল হয়ে এসেছে৤ বর্তমানে ষ+ণ=লেখার স্থানে, এবংলেখার প্রবণতা বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য৤ আমার প্রস্তাব হরফের উপরে হরফ না চাপিয়ে দুটি হরফই পাশাপাশি রাখা হবে, কেবল প্রথম হরফটি আয়তনে ছোট হবে--ষ+ণ=ষ্ণ৤ কোলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এশিয়াটিক সোসাইটির সর্বভারতীয় ওরিয়েন্টাল সেমিনারে আমি বাংলা যুক্তবর্ণ নিয়ে আমার ধারণাটি উপস্থিত করায় তা জ্ঞানচারীদের বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ও সম্বর্ধিত হয়৤ পরে সাপ্তাহিক ”দেশ“ পত্রিকায় আমার নিবন্ধটি প্রকাশিতও হয়(১৯৮৭)
 

          প্রথমে মানুষ ছবি ব্যবহার করে ধ্বনি বোঝাবার উপায় বের করল, যেমন মিশরে=ল,  =আ ইত্যাদি৤ পরে সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে ধ্বনি বোঝাতে লাগল৤


ভারতে ব্রাহ্মী , --এভাবে একটু একটু করে মানুষের ভাষা ও লিখন পদ্ধতির অগ্রগমন ঘটে৤আমরা দেখেছি প্রাচীন দিনে মানুষ হরফের উপরে হরফ না চাপালে তাদের ধ্বনি-সংযুক্তি অনুভব করতে পারত না৤
মিশরে=


ভারতে    তাই যুক্তধ্বনি বোঝাবার জন্য হরফের উপর হরফ চাপিয়ে যুক্তহরফ বা যুক্তবর্ণ তৈরি করা হত৤ পরবর্তীকালে মানুষের মেধা যখন বিমূর্ত চেতনাকে ধারণ করতে শিখল তখন হরফ পাশাপাশি বসিয়ে যুক্তবর্ণ তৈরি করতে আরম্ভ করে, এবং এই ধরণের যুক্তবর্ণ থেকেই তারা যুক্তধ্বনি অনুভব করতে শেখে৤ ইংরেজিতে যুক্তধ্বনি বোঝাবার জন্য প্রাচীন দিনের সেই হরফের উপর হরফ চাপানোর অপ্রত্যক্ষ স্মৃতি এখনও খানিকটা

বাভাস-৮
  



রয়ে গেছে বটে(æ œ &), কিন্তু আমাদের বাংলায় রয়ে গেছে সে সবের প্রায় পুরোটাই৤বাংলা যুক্তবর্ণের এই স্তিমিত-গতিসম্পন্ন মণ্ডহরফ ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার৤ বাংলায় ইউনিকোড ফন্ট তৈরি করে লেখালিখির কাজ করার সময়ে আমি যে ফন্টটি প্রথমে তৈরি করি, তা ’ওয়ার্ড এক্সপি‘ ফাইলে ভাল কাজ করছিল৤ পরে আরও উন্নত ”ওয়ার্ড৭“ আসে৤ সেখানে এই ফন্টে কাজ করতে কিছুটা অসুবিধা দেখা গেলে ’অহনলিপি‘ ফন্টটি তৈরি করি৤ সে জন্য আবার নতুন করে ফন্টটিকে সংশোধন করার উদ্দেশ্যে মাইক্রোসফ্​টের গাইডলাইন বা নির্দেশনা আবার দেখতে গিয়ে দেখি, যেভাবে আমি বাংলায় যুক্তবর্ণ গঠনের কথা চিন্তা করেছি, মাইক্রোসফ্​টের গাইডলাইন বা নির্দেশনায় সেই পদ্ধতির মতোই এবারে কিছু নতুন উপস্থাপনা আছে৤ বাংলায় যে পদ্ধতিতে আমি সকল যুক্তবর্ণকে স্বচ্ছ করার কথা বলেছি, সেখানে তার কিছুটা পরোক্ষ সমর্থন আছে৤ Developing OpenType Fonts
for Bengali Script (3 of 3):
Features

Example 2 - Reph feature applied with
multiple consonants.
Note- reph is re-ordered to position on the
1st main consonant, not the half-form:
This feature is applied to all consonants preceding
the ‘main’ consonant.
Half feature substitutes half form of Ka:


Half feature applied to multiple consonants:




অথচ বাংলায় যুক্তবর্ণ গঠনের সাধারণ রীতি হল--
নীচে যেভাবে তা উপস্থাপন করা হয়েছে=
বাংলায়  লেখাই সাধারণ নিয়ম৤ স+দ+ক= স্দ্ক, স+প+ল=স্প্ল-- এভাবে বাংলায় যুক্তবর্ণ লেখা হয় না, এটি ব্যতিক্রমী পথ, কিন্তু দেশের বা বিদেশের সকল কমপ্লেক্স স্ক্রিপ্টের ক্ষেত্রে যুক্তবর্ণ গঠনের এটিই হবে সহজ এবং সরল পথ৤
          সংবাদপত্রে ঠিক এইভাবে চিঠি পত্র লিখে তা প্রকাশিত হচ্ছে৤ কারণ এটি বোধ্য এবং সহজ বলে তা পড়তে অসুবিধে হয়নি৤
(চলবে)                 

 বাভাস-৯             





বাংলাদেশের সংবাদপত্র থেকে--
সাপ্তাহিক সোনার বাংলা৤ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১
প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বিদেশি
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে
আজ হতে প্রায় ৬০ বছর আগে বাংলাদেশীরা তাদের নিজস্ব মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করে এবং ঐ আন্দোলন সফলও হয়। তৎকালীন সরকার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। শুধু তাই নয় বাংলাদেশীরা তাদের পৃথক স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে এবং বাংলাই হয় একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। অথচ এখনও রাষ্ট্রের অনেক বিভাগ ও স্তরে বাংলা ভাষা ব্যবহৃত হয় না। রাষ্ট্র ও সরকারের কোন কোন বিভাগ ও স্থানে এখনও বিদেশী ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্প্রচারিত টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আর একটি বিদেশি ভাষা অর্থাৎ হিন্দি ভাষার নীরব আগ্রাসন শুরু হয়েছে। যেখানে আমরা পুরনো পাকিস্তানে প্রচলিত লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা হিসেবে প্রচলিত একমাত্র ভাষা উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে মেনে নিইনি সেই বাংলাদেশে হিন্দু সংস্কৃতি প্রভাবিত হিন্দি ভাষার দ্বারা আবার আগ্রাসনের শিকার হতে যাচ্ছি। আমরা মনে করি সরকারসহ সকল স্তরের জনগণকে বিদেশি ও ভিন্ন সংস্কৃতি প্রভাবিত হিন্দিভাষা ও হিন্দি সংস্কৃতির নয়া আগ্রাসনের ব্যাপারে এখনই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অন্যতম প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গে আজ বাংলা ভাষা হিন্দি ভাষার প্রভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে।
===================
          সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির শতবর্ষ(১৯১৩-২০১২) মহাসমারোহে পালন উপলক্ষে উদ্যোগ আয়োজন শুরু হোক৤ ভারত ও বাংলাদেশ এবং ইউনেসকোর তরফে যথাযথ আয়োজন হোক৤ এ বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষ ইউনেসকোর উদ্যোগে সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে৤
---------------------------------------------------
আলোর মাঝি
লিলি হালদার

          আলোর ভেলার মাঝি তুমি
          রৌদ্র হেসেছে__
          ঐ চোখে, চোখ রেখে
          ফুল ঝরেছে

বাভাস-১০





বেভুল মানুষগুলোর মধ্যে একজনকে
সুভাষ ভদ্র

আমার রক্ত দিয়ে তোমাকে বাঁচাই,        
          তুমি তো মুমূর্ষু মানুষ
চামড়ার ভিতর তোমার স্থায়ী ঠিকানা নাই,
          রক্ত-লেবেঞ্চুষ
চেটে খায় লোমওঠা নেড়ি কুত্তা,
          রাজপথে এসে
তুমিও ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলে
          নাম লেখাতে জেহাদীসন্ত্রাসে৤
মৃত্যুকে আত্মীয় জেনেছ,
          কতটুকু ভালো করবে এই অচলউত্থান
বিস্ফোরণের মোড়ক ধরে আছ,
          নষ্ট করতে হিন্দুস্থান
কি করতে পারবে চাঁদু,
          এ যে সনাতনী দেশ
একে পুষ্ট করে গেছেন
          যুগযুগান্তরের দরবেশ৤
  
তার চেয়ে প্রচলিত
          স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসো
   বোঝাপড়ায় মগ্ন হই,
          আধুনিকতার বোধে চল দুলি
স্বর্গ তো হাতের ময়লা বাপ,
                    অচল আধুলি এক
ওদিকে গেলে ঠকে যাবে,
          একদিন ফুরিয়েও যাবে তোমার গুলি--
  
    তখন রক্তের আকালে মারা পড়বে বাপধন
          নিজের বাপ না বাঁচালে কেউ বাঁচাবে না
          এখন রক্ত দিলাম শুধু মানবিক কারণ,
  লাইন না পালটালে তোমাদের আর বাঁচাবো না৥
-----------------------------------------------------------
ভাবুন--
টিভিতে সন্ধ্যার সিরিয়ালগুলো কি সামাজিক মেলামেশা যোগাযোগ ব্যাহত করছে? মানুষকে টিভি-আসক্ত করছে? ব্যবসায়িক স্বার্থে কি এবার রবিবারের সন্ধ্যাতেও হাত পড়তে শুরু করেছে?

বাভাস-১১




বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা
জুন-২০১১
                     ======
বাংলাভাষা সমিতি
আয়োজিত সাহিত্য সম্মান

মণীশ পুরস্কার
২০১১
আদর্শমূলক বিষয়কে তুলে ধরে রচিত
মৌলিক গল্পের জন্য একটি পুরস্কার৤
পুরস্কার মূল্য ২০০০/-(দুই হাজার)টাকা৤
শব্দ সংখ্যা সর্বাধিক ২৫০(দুইশত পঞ্চাশ)৤
পুরস্কার দেওয়া হবে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১২
”বাভাস“ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাদিবসে৤
লেখার সঙ্গে-- লেখকের নাম, ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর থাকা চাই৤
জমাকৃত লেখা হাতে লিখিত হলে তা
পরিচ্ছন্ন স্পষ্ট হওয়া চাই৤
বানান নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে৤
বিচারক মণ্ডলীর বিচারই চূড়ান্ত৤
প্রাপ্তলেখাগুলি উপযুক্ত মানের বিবেচিত না হলে পুরস্কার প্রদান স্থগিত থাকবে৤
পুরস্কার প্রাপ্ত লেখাটি, এবং প্রাপ্ত অন্য লেখাগুলি থেকে নির্বাচিত রচনাগুলি
পরবর্তীকালেপত্রিকায় প্রকাশিত হবে৤
লেখা জমা দিতে হবে শিবরঞ্জন মণ্ডলের কাছে (হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশন,
ধর্মতলা রোড, কসবা, কোলকাতা-৭০০ ০৪২)৤
লেখা জমা দেবার শেষ তারিখ ৩১-১২-২০১১
===========================

স্বরচিত সংস্কৃত কবিতার স্বকৃত বাংলা অনুবাদ:
ডঃ সমরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়৤

অন্বিচ্ছ সত্যং বদ সত্যমেব
   সত্যে সদা স্থাপয় মানসন্তে৤
সত্যং হি রত্নং নরজীবনস্য
     সত্যং বিনা নাস্তি গতির্নরাণাম্৤
অনুবাদ: সত্যকে অন্বেষণ কর৤ সত্য কথাই বল৤ (সব)শেষে মনকে সর্বদা সত্যের উপর স্থাপন কর৤ সত্যই মানব জীবনের রত্ন৤ সত্য ব্যতীত মানবের (অন্যকোন) উপায় নাই৤

বাভাস-১২





পাঠক বলেন --  (মতামত)
এই বিভাগে প্রধানত পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা
নিয়ে পাঠক তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন৤
          ’বাভাস‘ পত্রিকার ১ম সংখ্যায় ’ধরণী‘ নামক লেখার মধ্যে যে দূষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে জানাই যে আপনাদের তথ্য অনুযায়ী ৪৯ বছরে জনসংখ্যা ২৯৮কোটি থেকে ৬৭৭ কোটি হয়েছে[২০০৯], অর্থাৎ ৪৯ বৎসরে ৩৭৯ কোটি বেড়েছে, পরবর্তী ৪৯ বছরে এই সংখ্যা ১০০০ কোটি ছাড়াবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই৤ আমার মনে হয় এই জনসংখ্যাবৃদ্ধির হার ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও এই ধরনের অনুন্নত ও অর্ধোন্নত দেশেই বেশি৤ ১৯৫১ সনে ভারতের লোকগণনায় মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪৩কোটি ছিল, সেই সংখ্যা আজ ৬০ বছরে ১২০ কোটি অতিক্রম করেছে৤ এর থেকে প্রমাণিত হয় যে ভারতের অশিক্ষা ধর্মান্ধতা ও রাজনৈতিক নেতাদের অদূরদর্শিতা ভারতবর্ষকে এক অন্ধকারময় ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে৤ ভারতবর্ষ এখনই জনসংখ্যার চাপে খাদ্যাভাব, অচিকিৎসা, বস্ত্রাভাব, বাসস্থানের অপ্রতুলতায় জর্জরিত৤ এরই ফলে ভারতবর্ষের কোন কোন অঞ্চলে বঞ্চনার জন্য অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে৤জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এই সমস্যা আরও প্রবল হবে৤ পৃথিবীর মধ্যে সচ্ছল দেশগুলির লোকসংখ্যার অনুপাত অনেক কম৤ আইন করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করা প্রয়োজন৤ কোনও অজুহাতেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা যাবে না৤ এই জনসংখ্যার চাপ কমাতে না পারলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে ভারতবর্ষ জনবহুল দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশ হিসেবে বিশ্বে ১ম স্থান করে নেবে৤ এই অঘটন ঘটার পূর্বেই সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন৤
জগদীশচন্দ্র সরকার            ১৫/০৪/২০১১

(বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৭১২কোটি --সম্পাদক বাভাস)

বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার প্রচল ও পরিসেবা বিষয়ে আমরা সকলের কাছ থেকে  পরিকল্পনা আহ্বান করছি৤  

আগামী সংখ্যাটি হবে রবীন্দ্রসংখ্যা

বাভাস-১৩





রূপ থেকে অরূপে
সুভাষচন্দ্র দত্ত

রবীন্দ্রনাথ শুধু কি বাদল দিনের কবিতা
          শুধুই ঝরা পাতার গান
সীমার মাঝেও অসীমকে ছোঁয়ার আর্তি৤
তাপদগ্ধ গ্রীষ্মের মধ্যাহ্নে
          তিনি কি একমুঠো দখিন হাওয়া
শ্রাবণের বর্ষণঘন অপরাহ্ণে
          তিনি কি বাদলের ধারা
শিশিরসিক্ত শারদ প্রভাতে
          প্রথম ফোটা শিউলি
হেমন্তের সায়াহ্নে কৃষকের
          পিঠের ফসলের ভার
হিমধরা শীতের রাতে তিনি কি উত্তাপ
বসন্তের সন্ধ্যায়
          ষোড়শীর নুপূরের ঝঙ্কার৥
সঙ্গীতের আর এক নাম কি রবীন্দ্রনাথ৤
তিনি কি সুরস্রষ্টা, নাকি সুরের গুরু
তাঁর সঙ্গীত, তাঁর সুরের ধারা
সুরের আলো, সুরের হাওয়া, সুরের গন্ধ
তাঁর সুরের আগুন, সুরের রণন--
সবার সুরের সঙ্গে মিলে মিশে
          সৃষ্টি করে ঐকতান
          তাই কি রবীন্দ্রনাথ৤
নাকি তিনি নিঃসীম নিস্তব্ধ প্রকৃতির ছবি৤
একমুখ পাকা দাড়ি,
          প্রশান্ত কপাল, উন্নত নাসা
আজানুলম্বিত বাহু, এক ঋষিকল্প পুরুষ৤
    কিছুটা স্বর্গীয় কিছুটা পার্থিব৤
তিনি যেন শৈশবের কল্পনা, তারুণ্যের স্বপ্ন,
যৌবনের আশ্বাস, বার্ধক্যের বারাণসী৤
তার গান গেয়ে
          তাঁর কবিতা আবৃত্তি করে
          তাঁর নাটকে অভিনয় করে
          তাঁর প্রবন্ধের সমালোচনা করে
          তাঁর গল্পের চরিত্রে মিশে
আমরা কোন্ রবীন্দ্রনাথকে জানবো৤
সাহিত্যে তিনি নোবেল পেয়েছেন
বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা তিনিই৤
হাজার গানের রচয়িতা ও সুরস্রষ্টা
জনগণমন, সোনার বাংলার রূপকার

                   (এর পরে ১৫ পৃষ্ঠায়)

বাভাস-১৪




জালিয়ানওয়ালা বাগের ঘটনায় নাইট প্রত্যাখ্যান
সমাজবাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ
সব কি একই রবীন্দ্রনাথ৤
একের পর এক রবীন্দ্রনাথ
মনের মাঝে রূপ নিচ্ছে
পরমুহূর্তেই উত্তরিত হচ্ছে
          এক থেকে অনন্যে
          রূপ থেকে অরূপে৤
কিছুতেই জানতে পারছি না
    কোন্‌টা আসল রবীন্দ্রনাথ
কিসের মাঝে তাঁর পূর্ণ প্রকাশ?৤

========================


২৫ বৈশাখে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান
হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশন-এর সঙ্গে একত্রে



বাভাস-১৫





               ১ম বর্ষ   ৩য় সংখ্যা
বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা, জন্মদিন সংখ্যা, ১৪১৮
                        দ্বিতীয় সংস্করণ, জুন-২০১১
                                        বাভাস
----------------------------------------------------------
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠান --
          হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে এবং সহযোগী বাংলাভাষা সমিতি, এবং রোটারি ক্লাব সানসিটি ও কোলকাতা নাগরিক সম্মেলন,কসবা(উঃ)-এর সক্রিয় অংশগ্রহণে ইনস্টিটিউশনের সভা কক্ষে ২৫বৈশাখ, ১৪১৮ সোমবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্ম বার্ষিকী  পালন করা হয়৤
          সমবেত উদ্বোধনী সংগীত দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়৤ পরে কবিতা আবৃত্তি করে সুমেধা বিশ্বাস, বেহালা বাজায় ত্রিজিৎ পাল৤ রবীন্দ্র সংগীত গায় স্কুলের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ছাত্র শুভেন্দু মণ্ডল, সব শেষে সুন্দর রবীন্দ্র-নৃত্য পরিবেশন করে বাসন্তী ভৌমিক৤
          বাংলাভাষা সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক স্বপন বিশ্বাস ’বাভাস‘-এর দ্বিতীয় সংখ্যাটি প্রকাশ করেন, এটি নববর্ষ সংখ্যা৤ পত্রিকাটি উপস্থিত সকলকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়৤
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন স্কুলশিক্ষামন্ত্রী কান্তি বিশ্বাস মহাশয় হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশনের একটি ইন্টারনেট ব্লগ উদ্বোধন করেন এবং রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করেন৤ শ্রীমতী আশা বিশ্বাস বাংলাভাষা সমিতির পক্ষে ”মণীশ পুরস্কার-২০১১“ ঘোষণা করেন৤ আদর্শমূলক বিষয়ে রচিত ছোট গল্পের জন্য ২০০০/-(দুই হাজার) টাকা মূল্যের একটি পুরস্কার দেওয়া হবে (এ সংখ্যায় বিস্তারিত দেখুন)৤
          বাংলাভাষা সমিতির তরফে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশতজন্ম বার্ষিকী  উপলক্ষে তাঁর নোবেল প্রাপ্ত  কাব্যগ্রন্থ ’গীতাঞ্জলি‘  উপস্থিত সকলকে বিতরণ করা হয়৤
          রোটারি ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর রাজেন্দ্র খাণ্ডেলওয়াল-এর অর্থানুকূল্যে রোটারি ক্লাব সানসিটি দঃ কোলকাতার সভাপতি ডাঃ আর. এন. হোমচৌধুরী উপস্থিত সকল ছাত্রকে একটি মূল্যবান সংসদ ইংলিশ ডিকশনারি বিতরণ করেন, ও খাতা, পেনসিল, ইত্যাদি দেন৤ তিনি স্কুলের সার্বিক উন্নতিকল্পে যথাপূর্ব সহযোগিতা করে যাবেন বলে আশ্বাস দেন৤  
          অনুষ্ঠান শেষে স্কুলের তরফে ধন্যবাদ জানান কর্মদক্ষ উদ্যোগী স্কুল-সম্পাদক শিবরঞ্জন মণ্ডল৤
----------------------------------------------------------
সম্পাদক:পরিমল রায় কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত৤
যোগাযোগ: ৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড,
মণীশ পার্ক, কোলকাতা- ৩৯৥ 
২৩৪৩-৪৬৮৬,  মূল্য-  ১০/-



  

No comments: