Friday, May 13, 2011

বাভাস৤বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা৤ ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা৤















সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে নীচের লিংক থেকে ফন্ট ডাউনলোড করে নিন৤ অহনলিপি ফন্টটি নিজের উইন্ডোজ ফন্ট ফোল্ডারে ড্রাগ এন্ড ড্রপ করে নিতে হবে৤ প্রথমে পড়ে নিন

Read me First ফাইলটি৤

 





অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -->OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -->OK
  --> OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤



বাংলাভাষা

সমিতির পত্রিকা

 বাভাস


বাভাস-- বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা৤
১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যা৤
এপ্রিল-২০১১, নববর্ষ, ১৪১৮
















 




 
বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা

ইন্টারনেট:



বর্ষা  
বিকাশরঞ্জন বাগ
 
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি শরীরটা দুর্বল      
আকাশের দিকে চেয়ে দেখি মেঘাচ্ছন্ন৤    
মনে হয়েছে দিগন্ত করেছে অভিমান,          
দিন দিন আমরা প্রকৃতিকে করছি দূষিত৤
শিল্পের তারুণ্যে থরহরি প্রকৃতি --
প্রকৃতি পারছে না গ্রহণ করতে শিল্পের বিষ৤
দিন যায় সময় বদলায়,
কমে প্রকৃতির দূষণ-ধারণের ক্ষমতা৤
কদিন আগে কাগজে দেখলাম,
চাষিরা বলে, চাষ হবে নাই৤
বৃষ্টির জল না পেলে,
সময়ের সাথে বাড়ে পৃথিবীর উত্তাপ৤
তাই বলি ফিরিয়ে দাও অরণ্য,
        লহ এ নগর৤
        =======




অমর্ত্য সেন

আমাদের গর্ব
নোবেল জয়ী বাঙালি৤
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ১৯৯৮
----------------------------------------------------------

সবাই আসুন, সবাই লিখুন, সবাই নিজের মতামত দিন৤


বাভাস-২

বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা
এপ্রিল-২০১১

আমাদের দাবি
      বাংলাভাষা সমিতির সাহিত্য পত্রিকা ”বাভাস“ উদ্বোধন উপলক্ষে আমরা যে দাবি উত্থাপন করেছি তা কেবল আমাদের দাবিই নয়, তা বাংলাভাষী সকল মানুষের দাবি৤ দাবিগুলি জনসমক্ষে পেশ করা যাক--
(১)সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষার ব্যাপক প্রয়োগ ও প্রচলন করতে হবে৤
(২)শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বাংলাভাষা একটি অবশ্যপাঠ্য বিষয় হতে হবে৤ এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে৤ একাধিক রাজ্যে সে-রাজ্যের সরকারি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক৤
(৩)স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে বাংলাভাষার মাধ্যমে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে৤
(৪)গবেষণার স্তরে বাংলাভাষার মাধ্যমেও গবেষণার ব্যবস্থা করতে হবে৤
(৫)রাজ্য-সরকারি অফিস-আদালতে, রাজ্যে অবস্থিত সকল কেন্দ্রীয়-সরকারি অফিস, ও বেসরকারি অফিসে বাংলায় কাজ চালু করতে হবে৤
(৬)বাংলাভাষার প্রয়োগ ও পরিচালনার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সুষ্ঠু পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে৤
(৭)বাংলাভাষা প্রসারের জন্য রাজ্য সরকারি ও কেন্দ্রীয় সরকারি বাজেটে বাংলাভাষী জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে বার্ষিক বরাদ্দ রাখতে হবে৤  
          এসকল দাবির জোরালো সমর্থনে মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই৤  
          এটা আমাদের নববর্ষ সংখ্যা৤ আমরা স্বাগত জানাই বাংলা ১৪১৮ বঙ্গাব্দকে৤ 
-------------------------------------------------------
”বাভাস“ পত্রিকা উদ্বোধন অনুষ্ঠান ১৯-০২-২০১১

বাভাস-৩
কবিতা

লিখছি তোমাকে

অন্তরতমাসু--
          লেখার অভ্যেসটা এখন প্রায় হারিয়ে ফেলতে বসেছি, তবুও লিখব বলেই লিখছি তোমাকে-- জানো কাল যখন অলস বিকেলে শেষ আলোটুকু ইউক্যালিপটাসের পাতায় মিলিয়ে গেল, তখন একলা আমি সমুদ্র সৈকতে-- দাঁড়িয়ে৤ অবেলার ঢেউয়ের গর্জনের ভিতর নিঃসীম নির্জনতাকে খুঁজে ফিরছি, এমন সময় অনাহূতের মতো ছুটে এলো বালিয়াড়ি ঝড়, সেই ঝড়ে উত্তাল-সমুদ্রতরঙ্গে যেন তোমাকে সাথে  নিয়ে চলেছি-- নাগরিক কোলাহল পেরিয়ে-- অনেক-অনেক দূরে কোনও এক নির্জন নির্বাসনে৤
তোমার রঙিন আঁচলের প্রান্ত এসে ছুঁয়ে যায় নীল জল, ছুঁয়ে যায় আমার শরীর, আমি নতজানু হয়ে অপেক্ষমাণ তোমাকে একবার ছুঁয়ে দেখব বলে-- ইচ্ছে হয় তোমার ওষ্ঠে আলপনা এঁকে দিই বিশ্বজয়ের ইঙ্গিতে৤ দখিনা-বাতাসে এলোমেলো তমসাঘন চুলে আমি হারিয়ে যাই কোনও এক অচেনা-দ্বীপে৤ এতকাল যে প্রেম উড়ে বেড়াত বলাকার ক্লান্ত ডানায়, নীল শামিয়ানা-- থেকে যেন নেমে এসেছে বিশ্বনিখিলের পটে, এই কি তবে প্রেম? চরাচরে নামে অন্ধকার, গাঢ় অন্ধকারে সৃষ্টিতত্ত্বের খাতা খোলেন বিধাতা, জেগে থাকে তারারা, জেগে থাকে সমুদ্র, ঝিল্লির ডাক প্রহর গোনে অপেক্ষার সকাল৥
---- স্বপন বিশ্বাস
৮ ফাল্গুন ১৪১৭ বঙ্গাব্দ
[২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১]
---------------------------------------------------------

আর কত নিত্য নত?
ভারতের টিভি:
মা মণি, সাইকেল থেকে মাটি-অবধি আমার পা কেন ছোট পড়ে?
বাংলাদেশের টিভি:
মা মণি, সাইকেল থেকে মাটি-অবধি আমার পা কেন পৌঁছায় না?

বাভাস-৪




কবির প্রত্যাশা
পরিমল রায়

তোমার সার্ধশতবার্ষিক জন্মদিনে
প্রতিবছরের ন্যায় ছবিটা দেওয়াল
                   থেকে নামিয়ে
ঝুল ঝেড়ে, পরিষ্কার করে রেখেছি টেবিলে
রজনীগন্ধা, গোলাপ চন্দ্রমল্লিকায়
সাজিয়ে ফুলদানি,
মালা পরিয়েছি সযতনে৤
তোমার বাণী, তোমার গান, কবিতায়
ভরে যাচ্ছে শহরের এ প্রান্ত ওপ্রান্ত
ক‘দিনের আকুলতায়, ব্যাকুলতায়
হয়ত ভরে যাবে দিগদিগন্ত৤
কিন্তু, তোমার মন ভারাক্রান্ত
কেননা, কদিন পরেই এ সবই হবে ক্ষান্ত
আবার শুনবে রণধ্বনি
দেশে-দেশে, বিদেশে-স্বদেশে
ধর্মে বর্ণে রণসাজে সজ্জিত
                   বিভিন্ন পতাকাতলে
সুযোগের অপেক্ষায় মারণাস্ত্র শানায়৤
আক্রান্তের চিৎকার, হাহাকার অনুচ্চ রয়ে যায়
বলিষ্ঠের সুকৌশল প্রচার মহিমায়৤
মানুষের এত হানাহানি
এত রক্তস্রোত
জাগবে না কি কোনও বোধ?
ভোগবাদী কামনা, বাসনার লালসায়
মানুষ কি মেতেছে
নিজেকে ধ্বংসের নেশায়!
সুন্দরের পূজারি তুমি
এখনও রয়েছে ক্ষীণ প্রত্যাশা
হয়নিকো শেষ প্রেম ভালোবাসা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জন্ম নেবে
ভবিষ্যতের আশা৤
--------------------------------------------------------

যোগাযোগ:

শিবরঞ্জন মণ্ডল, সদস্য, বাংলাভাষা সমিতি,
পত্রিকা সংগ্রহ ও লেখা জমা দেবার জন্য৤
হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশন
১১টা- ১টা৤
 
বাভাস-৫




  
 একুশে
সুভাষচন্দ্র দত্ত

একুশে ফেব্রুয়ারি
ইতিহাসের পাতা থেকে ছিঁড়ে--
প্রতি বছর পালন করি--
ভাষা দিবস ---- একুশে ফেব্রুয়ারি৤
একুশে ফেব্রুয়ারি কি শুধুই একটি দিন
শুধুই বাংলার, বাঙালির, বাংলা ভাষার
নাকি, একুশে একটা আন্দোলন
শাসকের বিরুদ্ধে শাসিতের আন্দোলন,
সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সমাজবাদের আন্দোলন,
অত্যাচারীর বিরুদ্ধে অত্যাচারিতের আন্দোলন
এ আন্দোলন
দেশে দেশে যুগে যুগে হাজার হাজার--
মানুষের মিলিত আন্দোলন
এ আন্দোলন অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন
মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার
মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার
মাতৃভাষায় গান করার, হাসার কাঁদার অধিকার৤
বাংলার মাটিতে বাংলার জল হাওয়ায়
বাংলা ভাষা উচ্চারণের যে মাধুর্য
          সেটা অন্য কোথায় পাব৤
নদীর কুল-কুল ধ্বনি,
স্নিগ্ধ শ্যামল শোভার বুকে
          বিদ্যুতের চমক
কী ভাষায় প্রকাশ করব?
শরতের কাঁচাসোনা রোদরঙ--
গ্রীষ্মের উদাসীনতা,
হেমন্তের ধূসরতা, শীতের বিষণ্ণতা
বসন্তের অপরূপ রূপময়তা---
মেঘে ঢাকা আকাশের স্নিগ্ধ ছায়া৤
(পরের পৃষ্ঠায় দেখুন )
 বাভাস-৬




গাছের পাতায় মাঠে ঘাটে
          চিকন সবুজের উচ্ছ্বাস--
আঁধার রাতে ঝিঁঝি আর
          গ্যাঙর গ্যাঙর ডাক
পদ্মা-মেঘনা-বুড়িগঙ্গা--
          ধলেশ্বরী কোপাই-এর বুকে
মাঝি মাল্লা জেলেদের ভাটিয়ালি গান
একই সঙ্গে এত রূপময়তা
          কী ভাষায় প্রকাশ করব৤
একদিকে জলের রূপালি ফসল
অন্যদিকে মাঠের সোনালি ধান
পাখির কূজন,
যুঁই বেল--মল্লিকা--শেফালির
রঙের উৎসব, ঘ্রাণের উৎসব
বাংলাভাষা ছাড়া
          বিশ্বের অন্য কোন্ ভাষায়
প্রকাশ করা যায় মাধুর্য৤
হাজার বছরের প্রাচীন ভাষা
          বাংলা ভাষা
রাঢ়, সুহ্ম, পুণ্ড্র বারেন্দ্র বাঙলার
          আদিম জনগোষ্ঠীর ভাষা
আজ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষা
          মধুরতম ভাষা৤
এ ভাষায় কথা বলতে
আমি বারবার বাংলার বুকে জন্মাতে চাই
এ ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায়--
                   হাজার বার
                   প্রাণ দিতে রাজি৤
১৮/১টা-২০
-------------
২১-২-২০১১
------------------------------------------------------

● প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে

অরণ্য উজাড়
লিলি হালদার

অরণ্য উজাড়
এক-একটি কাঠে
তৈরি হচ্ছে
এক-একটি ক্রুশ

প্রথমটি আমার জন্য

দ্বিতীয়টি তোমার জন্য

তৃতীয়টি
সারা পৃথিবীর জন্য৤ ●

 বাভাস-৭


পত্রিকা উদ্বোধন
মনোজকুমার দ. গিরিশ

          বাংলাভাষা সমিতির সাহিত্য পত্রিকা ”বাভাস“ উদ্বোধন উপলক্ষে সংস্কৃতিবান গুণী জ্ঞানচারী সুধীজন সমবেত হয়েছিলেন, লক্ষ্য ২১শে ফেব্রুয়ারি ”আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস“ পালন৤ এটি বাঙালির একটি আন্তর্জাতিক অর্জন, যা নোবেল পুরস্কারের চেয়ে অনেক মাথা-উঁচু করা সম্মানের ব্যাপার৤ বাঙালি তিনটি নোবেল পুরস্কার পেয়েছে-- ১৯১৩-তে সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ, ১৯৯৮ -তে অর্থনীতিতে অমর্ত্য সেন, ২০০৬-এ শান্তিতে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনুস৤ আর ১৯৯২-তে চলচ্চিত্রে বিশেষ অস্কার পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়৤ এঁরা বাঙালির শির উন্নত করেছেন৤

          ১৯৬১-তে আর একদল মানুষ ১৯মে অসমের (অহম) শিলচরে প্রাণ দিয়ে বাংলাভাষার জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন৤ আভূমি নত হয়ে এঁদের এই বরণীর কৃতিত্বকে প্রণাম জানাই৤

          সচেতন বাঙালি মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে প্রাণ দিলেও সাধারণ বাঙালি তাঁদের মাতৃভাষা বাংলা নিয়ে তেমন সচেতন নন৤ তার প্রমাণ পদে পদে পাওয়া যায়৤ এসব-- বাঙালির গৌরব বৃদ্ধি করে না৤ নিজের ভাষা সর্বদা হবে প্রথম অধিকারের ভাষা, তা ইংরেজির পরে নয়, হিন্দির পরে নয়৤ অন্য যে-ভাষাই বাংলার পরিবেশ ঘিরে রাখুক নিজের ভাষা কখনওই দ্বিতীয় অধিকারের ভাষা হতে পারে না, তৃতীয় তো নয়ই৤ তেমন হলে, তা তার জীবিকা হরণ করে, তা মানুষের মানবিক অস্তিত্বের অপলাপ ঘটায়৤ তাই বাংলাভাষা সমিতির ’নাদ‘ তথা স্লোগান-- ”ভাষা হল জীবন জীবিকার মূল হাতিয়ার“৤ যার ভাষা যায়-- তার কথা বলার অধিকার যায়, তার জীবিকা যায়, তার মানবিক অস্তিত্ব কূট চালে পড়ে যায়৤ যে-সকল বাঙালি উদ্বাস্তু দেশ-ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের যেতে হয়েছে, রামায়ণে বর্ণিত ভয়াবহ দণ্ডক বনে, কালাপানির দ্বীপান্তর আন্দামানে৤ ’সেই আমাদের‘  ভাষা গেছে, সংস্কৃতি গেছে৤ রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ’এই ছিল মোর ঘটে‘৤

          আন্দামানে বাঙালিদের নাগরি তথা হিন্দি হরফে বাংলা পড়তে হয়৤ পঃবঙ্গেও অনেকে অহেতুক ইংরেজি-হিন্দি মিশিয়ে কথা বলি৤ এসব ভুল, এসব আমাদের গৌরব বা কৃতিত্বের স্বাক্ষর নয়, এটা জাতি হিসেবে বাঙালির ব্যর্থতা৤

          ঘাড়গুঁজে বাঁচার প্রয়াসে তার ইঁদুরগর্তই জুটবে, দু-একজন কৃতি মানুষ নোবেলের সিংহাসনে বসে তা

 বাভাস-৮





ঠেকাতে পারবেন না৤ যদি আর কিছু নাও পারি, যদি শুধুমাত্র বাংলা গান শুনি, শুধুমাত্র বাংলা টিভি দেখি, বাংলা সিনেমা দেখি, তবে বাঙালির জীবিকার সুরাহা হয়, যদি আমার ভাই-বোন-ছেলের দোকান থেকে আমাদের সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনি তবে তাদের বাঁচার রসদ জোটে৤ নয়তো তারা যাবে কোথায়? অন্যত্র বিভুঁইয়ে তাদের জন্য, তাদের জীবিকার সুবিধা করে দেবার জন্য কি কেউ বসে আছেন? মনে হয় নেই৤

          কারও বিরুদ্ধে আমাদের কিছু বলার নেই৤ আমরা যদি আমাদের পক্ষে কিছু ভাবি, আমাদের পক্ষে কিছু করি, তবে তা আমাদের আত্মরক্ষার রসদ হয়ে উঠবে৤ পাগলেও নাকি নিজের ভালো বোঝে-- আমরা কি আর বুঝবো না, নিশ্চয়ই বুঝবো৤  

          সচেতন বাঙালির কাছে আবেদন তাঁরা ভাবুন, অন্যকে তাঁদের ভাবনা ছড়িয়ে দিন, সেটাই হবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের সার্থকতা৤ একুশে, ১৯শে আনুষ্ঠানিক দিন নয়, শোকের দিন নয়-- জয়ের দিন, অর্জনের দিন৤ একুশে, ১৯শে সারা বছর উদ্‌যাপনের দিন৤ আমরা প্রাণ দিয়ে যা অর্জন করেছি, তা শুধু ধরে রাখলে হবে না, তাকে প্রসারিত করতে হবে৤ তবেই তো ভালোবেসে উচ্চারণ করা যাবে-- সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে, সার্থক জনম মাগো তোমায় ভালোবেসে৤

          নয়তো তা যে কেবল ”মুখবাদ্য“ হয়েই রয়ে যাবে৤ পিঠে আগুনের তাপ কি অনুভব করা যাচ্ছে না? সেই তাপ অন্তরে জ্বলে উঠুক, মায়ের প্রতি ভালোবাসায় ভরে উঠুক৤ মুখের ভাষা হোক বুকের ভাষা-- সুখের ভাষা৤ আমার ভাষা, বাংলাভাষাই হোক ’আমার প্রাণের আরাম মনের আনন্দ আত্মার শান্তি‘৤

--  ০০  --

শব্দ সংখ্যা ২০০-তে সীমাবদ্ধ রাখুন, তাতে লেখা প্রকাশে সুবিধে হয়৤

বাভাস-৯




গল্প

বেড়ালটা বড় পাজি
সঞ্চিতা মিত্র

      কাক্‌কা আমি একটি কাক৤ আমার নাম গোলু৤ আমি ছোট্টো টিনটিনদের বাড়ির পাশের কাঁঠালগাছটায় থাকি৤ আমি দেখি রোজ ওর মা ওকে কত কিছু খাওয়ায়, আর টিনটিন এত দুষ্টু যে রোজ রোজ মুখ থেকে খাবার ফেলে দেয়৤ একদম খেতে চায় না৤

ওরা মানুষের ছানা৤ কত ভালো ভালো খাবার পায়, তাও ওদের মুখে রোচে না৤ আর আমরা? এমন কত দিন যায় একটা মাছের কাঁটা কিংবা একটা বিস্কুটের টুকরোও আমাদের জোটে না৤ চোখে জল আর পেটে খিদে নিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কত খাবারের স্বপ্ন দেখি৤ তবে টিনটিন বড় ভালো, ওর খাওয়ার সময় কাঁঠালগাছের ডালে বসলে, কাঁটাটা, মুখ থেকে ফেলে দেওয়া ভাতটা-- আমরা খেতে পাই৤ আর ও মাঝে মাঝে আমাকে বিস্কুটও দেয়৤ তবে আমার খুব দুঃখ জানো, কাঁঠালগাছটায় আগের বছর কত যত্ন করে বাসা বানালাম, কতকিছু জোগাড় করলাম--  কাপড় শুকোতে দেওয়ার ক্লিপ, ফেলে দেওয়া তার, চুলের কাঁটা৤ বাসাটাও বানালাম বেশ জব্বর, আর তাতে পাঁচ পাঁচটা ডিম পাড়লাম৤ রোজ কত যত্ন করে ডিমে তা‘ দিতাম, আশা ছিল ছানা হবে৤ মাম্‌মা কাম্‌মা করে করে ডাকবে৤ কিন্তু কী যে হল পোড়ারমুখো হুলো বেড়ালটা রাতে হামলা চালিয়ে সব ক‘টা ডিম খেয়ে গেল৤ তারপরেও তিনটে, চারটে করে ডিম হল৤ হায়রে বেড়ালটা এত্ত এত্ত পাজি...৤ তবে আশায় আছি যবে টিনটিন বড় হবে হুলোটাকে বাড়িছাড়া করবে, আর আমার ছানারা তখন নিশ্চিন্তে বড় হবে৤ সবাই মিলে তখন ওর খাবার সময়ে কা-কা-আ-কা করে গান করব৤

আরে দূর, আমি কী বোকা! তখন কি টিনটিন জানালার পাশে পা ঝুলিয়ে বসে মার হাত থেকে ভাত খাবে? তখন তো ও মস্ত বড় হয়ে যাবে! 

--------------------------------------------------------

          সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির শতবর্ষ(১৯১৩-২০১২) মহাসমারোহে পালন উপলক্ষে উদ্যোগ আয়োজন শুরু হোক৤ ভারত ও বাংলাদেশ এবং ইউনেসকোর তরফে যথাযথ আয়োজন হোক৤ এ বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মের সার্ধশতবর্ষ ইউনেসকোর উদ্যোগে সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে৤



বাভাস-১০




যে মেয়েটি ফিরবে না আর
সুভাষ ভদ্র

মেয়েটিকে বিক্রি করে মা ভাবল
যাক এবার মুক্তি পাওয়া গেল--,
ক‘দিন পেট ভরে খাওয়া যাবে তেলে ঝোলে,  
আজকাল পিতারাও খুশি হন কন্যাভ্রুণ জন্মালে৥              
 *        *        *          *        *
অভাবের তাড়নায় স্বভাব পরিবর্তিত হতে বাধ্য
’গরিবি হটাও‘, প্রধানমন্ত্রী তো কোন্ ছার্,                                   দেবতাদেরও অসাধ্য,
অতএব দালাল আছে, আছে নিষিদ্ধ
                                 বিক্রিবাট্টা গোপনে
পিতামাতারা কন্যাকুল বিক্রি করে টাকা
                                   নেয় গুণে গুণে--
মুখে হাসি ফোটে, সুখের রোদ্দুর
                           এসে পড়ে  আঙিনায়
দশমাস দশদিনের গর্ভযন্ত্রণাও
                       অবলীলায় বিক্রি করা যায়--!
          *        *        *        *        *
মেয়েটি হারিয়ে গেল, পরিচিত মাটিও
                              তাকে রাখল না ধরে
বাকি জীবনটা কাটবে তার টাকার বিনিময়ে,
                                 লম্পট অন্ধকারে, 
কিন্তু শুভার্থী মানবদরদি বলে পরিচিত যারা--
                        হা-হুতাশ করবে কিছুক্ষণ--
কেন পুষ্ট হয় শরীর, কেনইবা আসে
                         গরিব মেয়ের রূপ যৌবন!
মৃত্যু নেই লোভের, টাকার থলে নিয়ে
                           সুখ আসে ’স্রষ্টা‘র কাছে
হাজার যিশু জন্মালেও এ পৃথিবী আর
                         থাকবে না সুস্থতায় বেঁচে
কন্যা ভ্রুণের ঈশ্বর থাকুক, সশরীরে
                         আবির্ভূত না হলেও আজ
হারিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে খুঁজে দিন তিনি--  
       সমস্ত ধ্বংস করে গড়ে দিন নূতন সমাজ৥

 ----------------------------------------------------------
কৌতুকী--
 
-- দাদা, টিভিতে এত সিরিয়াল হয় কেন?
--টিভির সিরিয়ালের চিল-চিৎকার বাঙালির বড়ই প্রিয়, বড়ই উপভোগ্য হে৻
 
বাভাস-১১



বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা
এপ্রিল-২০১১
 =======
সুনীলনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থাপিত: ১৯৫০
১ম - ৪র্থ শ্রেণি
পঃবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য
১ম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤

----------০----------

তিলজলা বাণীতীর্থ হাইস্কুল ফর গার্লস
স্থাপিত: ১৯৬৮
৫ম - ১০ম শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
ছাত্রীদের জন্য
৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤

----------০----------

প্রচারের জন্য জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, লাইব্রেরি আমাদের কাছে তাঁদের তথ্য জমা দিন৤


সরে গেল পৃথিবীর অক্ষও
 
বিজ্ঞানের পরম বিস্ময় পরমাণু প্রকল্প পরম যত্নে রক্ষা করলেও প্রকৃতির পরম রোষে খোলামকুচির মতো কুচো হয়ে যেতে সময় নেয় না৤ পরম শক্তিই তখন পরম ভরসা৤ জাপানের ভূ-কম্পন জানান দিল৤ ●


●পত্রিকা প্রকাশে যাঁদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সাহায্য পাওয়া গেছে তাঁদের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ●
 ----------------------------০------------------------
 
বিনা সেতুতে
সনৎ মুখার্জি

নদী চায়না সেতু, আমি চাই৤
আমি চাই না ক্ষতি, আমি পাই৤
অবাধ গতি, বহমান ধারা, কেড়ে নেয় যারা৤
প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে বঞ্চিত হয় তারা৤
আমার চলার সুখ ভিন্ন গতিপথ
থমকে দাঁড়িয়ে যাবে আমার জীবনরথ৤
ফিরতে হবে পুরানো পথে
          নৌকা বা জাহাজ ভাসিয়ে৤
পার হতে হবে নদী বিনা সেতুতে৤ ●


বাভাস-১২




পাঠক বলেন --  (মতামত)
এই বিভাগে প্রধানত পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা নিয়ে পাঠক তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন, পরামর্শ দেবেন যাতে পত্রিকা আরও ভালো এবং সুন্দর করা যায়৤
-----------------------------------

(১)   আমাদের দেশে হবে ব্যবসায়ী কবে,
       মুখে না মারিয়া সে ব্যবসা-ই করে৤
                                  -- নিন্দুক

(২)পত্রিকা বেরিয়েছে খুবই ভালো কথা কিন্তু একে টিঁকিয়ে রাখা, চালিয়ে নেবার কথা ভাবতে হবে৤ আর এর লেখার রীতিও কেমন ভিন্ন, এমন হলে লোকে পড়তে অসুবিধে বোধ করবেন৤
--হিরণ্ময় মিত্র (পত্রিকা  পর্যালোচনার সভায়  তাঁর বক্তব্যের সার সংক্ষেপ)

(৩)টিভিতে নাচা গানাকে কি জিমন্যাস্টিক বা ব্যায়াম বলে আখ্যাত করলে অধিক সুবিবেচনার পরিচায়ক হত না?
-- ম.দ.গিরিশ



ভিক্টোরিয়া কাউয়ি
বয়স মাত্র  ১১,

সবচেয়ে বেশি আই.কিউ. ধারী বলে চিহ্নিত এমনকী আলবার্ট আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং ও বিল গেটসকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের ওলভারহ্যাম্পটনের ক্লেভারলেতে থাকে ভিক্টোরিয়া --প্রথম আলো, ১৩/০৩/২০১১ (বাংলাদেশের সংবাদপত্র)৤


বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার প্রচল ও পরিসেবা বিষয়ে আমরা সকলের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক পরিকল্পনা ও প্রকল্প আহ্বান করছি৤ পরিকল্পনা ও প্রকল্প সম্পাদকের কাছে জমা দিতে হবে৤


বাভাস-১৩



মা, তোমার কোলে
মানস চক্রবর্তী

মা,
   তোমার কোল-বিছানায় রাজবিলাসে
             শুয়ে আকাশ দেখা৤
   দিনান্তে কুটিরে-ফেরা শ্রান্ত-কপালে
             তোমার স্নেহচুম্বন আঁকা৤
   দিনভর আরোপিত বিদেশিবুলির বিরতিতে
তোমার ভাষায় কথকতা
কাব্য-গীতি-লেখা৥
মা,
   তোমার সব সন্তানের ’এটা‘ জন্মগত অধিকার৤
   ’এটা‘ তাদের প্রাণের আরাম, গর্ব, অলংকার৤
   ’এটা‘ই তাদের পরম খুশির দোল, বড়দিন, ঈদ৥

মা,
   কী ক‘রে ভুলতে পারি?
   ’এটা‘ কেড়ে নিতে এসেছিল এক
একুশে ফেব্রুয়ারি৤
   অভিশপ্ত সে দিনে,
   বাধা দিতে গিয়ে সন্তান কত লুটাল
রক্তশয়ানে৤
   সেই বীর ভায়েদের কীর্তি-স্মরণে
              মাতৃভাষা-দিবস পালনে,
   উন্নতশির বলে উঠি আমি এদিন সাশ্রুনয়নে--
   ”তোমাদেরই রক্তপথে, মাতৃভাষা বিজয়রথে,
   অমর রহো, ভায়েরা আমার,
তোমরা ভাষা-শহিদ৥“
১৯/০২/২০১১
==========================

স্মরণীয় বরণীয় লেখা--

হাসিতে খেলিতে আসিনি এ জগতে,
করিতে হবে মোদের মায়েরই সাধনা৤
দেখাতে হবে আজি জগতবাসী সবে,
এখনো ভারতের যায়নি রে চেতনা৤
গভীর ওঙ্কারে হু্ঙ্কারি দে রে ডাক,
শিহরি উঠুক বিশ্ব, মেদিনীটা ফেটে যাক৤
আমাদের জন্মভূমি দেবতার লীলাভুমি,
দেবগণ আসুক নেমে, পূর্ণ হোক বাসনা৤
সার্থক হবে তবে এ জীবন সবাকার,
ছেলের গৌরবে হবে গরবিনী মা আমার!
জগৎ লুটিয়ে পায়ে, ঘুচে যাবে যত দায়,
মিটে যাবে মুকুন্দের চিরদিনের কামনা৤

       হাসিতে খেলিতে
রচনা:মুকুন্দ দাস(১২৮৫-১৩৪১ বঙ্গাব্দ)
মুকুন্দ দাস ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বানারি
গ্রামের অধিবাসী৤ গৃহের নাম ছিল যজ্ঞেশ্বর৤

বাভাস-১৪



● দৈনিক ইত্তেফাক, ঢাকা, ২১/০২/২০১১ ●

কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙ্গালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসাবে ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আন্নানের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণার আবেদন জানিয়ে ছিলেন১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে২০১০ সালের ২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে পালন করছে জাতিসংঘ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে
একুশে ফেব্রুয়ারি বলতে ১৯৫২ সালের কেবল সেই দিনটি নয়এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সাল থেকে১৯৪৭ সালের ১৭ মে হায়দরাবাদে এক উর্দু সম্মেলনে মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরি খালিকুজ্জামান ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হবে উর্দুতার সঙ্গে গলা মেলান আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিনপ্রতিবাদে ২৯ জুলাই ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ আজাদ পত্রিকায় বলেন, বাংলাই হওয়া উচিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, তবে দুটি রাষ্ট্রভাষা করা গেলে উর্দুর কথা বিবেচনা করা যায় শুরু হয় ভাষার জন্য আন্দোলনমূলত পাকিস্তান গঠনের পর এই আন্দোলন রূপ নেয় অধিকার আদায়ের আন্দোলনে১৯৪৮ সালের ২ মার্চ গঠিত হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ১১ মার্চ সংগ্রাম পরিষদ সারা পূর্ববঙ্গে ধর্মঘট আহ্বান করে১৯ মার্চ মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ্ ঢাকায় আসেনএ বছরই ২১ মার্চ তিনি রেসকোর্স ময়দানে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা, অন্য কোন ভাষা নয় ২৩ মার্চ জিন্নাহ্র বক্তৃতার সমালোচনা করে এ.কে. ফজলুল হকের বিবৃতি প্রচারিত হয়২৪ মার্চ কার্জন হলে জিন্নাহ্ ভাষা সম্পর্কে তার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করলে নো, নো বলে প্রতিবাদ করে উঠেন অনেকেদিন দিন তীব্রতর হতে থাকে রাষ্ট্রভাষা বাংলার আন্দোলন 

বাভাস-১৫




      ১ম বর্ষ   ২য় সংখ্যা
 
বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা,
নববর্ষ সংখ্যা, ১৪১৮
                                      এপ্রিল-২০১১
                                      বাভাস

--------------------------------------------------------

স্মরণীয় বরণীয় লেখা--

মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হল বলিদান
লেখা আছে অশ্রুজলে৤
কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা
বন্দীশালার ঐ শিকল ভাঙা
তারা কি ফিরিবে আর
তারা কি ফিরিবে আর এই সুপ্রভাতে
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে৤
যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানে
স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের সহ দীক্ষা লভি
সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি৤
যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা
মৌন মলিন মুখে জাগালো ভাষা
আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজলক্ষ্মী দেবে তাঁদেরি গলে৥

রচনা: মোহিনী চৌধুরি, (৪সেপ্টেম্বর, ১৯২০),
ফরিদপুর, কোটালি পাড়া,  সুর: কৃষ্ণচন্দ্র দে

--------------------------------------------------------

এবার বিদায় দাও মা ঘুরে আসি
আমি,   হাসি হাসি পরব ফাঁসি
দেখবে জগৎ বাসী৤
কলে বোমা তৈরি করে বসে ছিলাম
লাইনের ধারে মাগো
ওমা লাট ম‘লো না বিফল হ‘লো
ম‘লো ভারতবাসী৤
হাতে যাদি থাকত ছোরা তোর ক্ষুদি কি
পড়ত ধরা মাগো
আমি    রক্ত মাংস এক করিতাম
দেখত ইংলন্ডবাসী
শনিবার দিন বেলা দুটোতে লোক
ধরে না হাইকোর্টেতে
অভিরামের দ্বীপান্তর মা
ক্ষুদিরামের ফাঁসি(মা)
দশমাস দশদিন পরে জন্ম নেব
মাসির ঘরে মাগো
আমায় চিনতে যদি না পারো মা
দেখবে গলায় ফাঁসি৥
রচনা: পীতাম্বর দাস (বাঁকুড়া জেলার অধিবাসী)
সরকারি পুস্তকের সহায়তা নেওয়া হয়েছে





সম্পাদক:পরিমল রায় কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত৤


যোগাযোগ: ৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড, মণীশ পার্ক, কোলকাতা- ৩৯৥    ২৩৪৩-৪৬৮৬,  মূল্য-  ১০/-






































No comments: