Thursday, March 10, 2011

মাতৃভাষা মিশন, ত্রিপুরার দাবি

বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন


https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip




অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -->OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -->OK
  --> OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤


=======================

অন্য সংগঠনের প্রচার পুস্তিকা থেকে উদ্ধৃতি-

মাতৃভাষা মিশন, ত্রিপুরার দাবি


=================

মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষার অধিকার চাই৤ ‎




মাতৃভাষা মিশন

ধলেশ্বর, আগরতলা

পশ্চিম ত্রিপুরা





অনার্স ও স্নাতোকোত্তর স্তরে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও পঠন ‎পাঠনের যে নিয়ম দীর্ঘদিন চালু ছিল, সম্প্রতি এক আদেশমূলে তা বাতিল করে ‎দিয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়৤ এই আদেশের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি ‎গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ, ছাত্র যুবসমাজ, শিক্ষক-অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবী মহল প্রবল ‎প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন৤ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ‎মাধ্যমেও উন্নত ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ দাবি করে কলেজে কলেজে প্রতিবাদপত্র ‎জমা দিয়েছেন৤ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যসরকার এই রাজ্যের ‎পিছিয়ে পড়া নব্বই শতাংশ মানুষের স্বার্থে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার ‎মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ চালু রাখার জন্য জরুরি চিঠি দিয়েছেন ‎বিশ্ববিদ্যালয়কে৤ ‎

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজির আধিপত্য থাকলেও মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের ‎দাবিকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা যায় না৤ শিক্ষাকে সর্বাত্মক ও বহুমুখী ‎সার্থকতায় পৌঁছে দিতে গেলে মাতৃভাষার সাহায্য ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই৤ ‎আর এজন্যই মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার ‎হিসাবে সংবিধানে স্বীকৃত হয়েছে৤ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আদেশনামা যেন ‎মানুষের এই মৌলিক অধিকারের মাঝে এক দেয়াল তুলে দিয়েছে৤ ‎বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামা যদি অবিলম্বে বাতিল করা না হয়, তার পরিণাম ‎হবে ভয়াবহ৤ ‎

শুধু ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার রাস্তা সংকুচিত করা হলে, পরিণামে ‎সাধারণ মানুষের কাছে শিক্ষা হয়ে উঠবে অধরা সোনার হরিণ! সমাজের কতিপয় ‎উচ্চবর্গ-আমলা-সুবিধাভোগী-কুলীন-এলিট জনগোষ্ঠীর কুক্ষিগত হয়ে পড়বে ‎উচ্চশিক্ষা৤ এটা কোন সরকারের কাম্য হতে পারে না৤ যেখানে স্বাধীনোত্তর ‎ভারতবর্ষে ত্রিভাষা নীতির মূল উদ্দেশ্যই হল আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার ‎সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি করে গুণগত ও উচ্চশিক্ষার ‎বিস্তারসাধন, সেখানে বহু শ্রম ও স্বপ্নে গড়া ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আজ কেন্দ্রীয় ‎মহিমায় ভূষিত হয়ে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার অধিকারটুকু কেড়ে নিতে চাইছে৤ ‎উচ্চশিক্ষাকে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত করে নিতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়! ‎

স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষের স্বার্থে ‎আঞ্চলিক ভাষায় উচ্চ ও গুণগত শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোন উদ্যোগই কার্যত ‎গ্রহণ করেনি৤ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মতো প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি ‎করে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ‎কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন চেষ্টাই হয়নি দেশে৤ উচ্চশিক্ষা প্রসারের নামে ‎একের পর এক দেশের মাটিতে মার্কিনী মস্তিষ্ক তৈরি করার কারখানা নির্মাণ ‎করে দেশের উন্নত মেধাগুলিকে বিদেশের বাজারে চালান দেওয়ার আয়োজন ‎করছে শাসক প্রভুরা৤ মাতৃভাষাকে এভাবে দিনকে দিন দুর্বল করে রেখে ‎উচ্চশিক্ষাকে ইংরেজির আস্তরণ দিয়ে মুষ্টিমেয় লোকের কুক্ষিগত করে রাখা ‎হয়েছে৤ মাতৃভাষার প্রতি বিশ্বাসভঙ্গকারী দেশের এইসব প্রভুরা আজও NET ‎SLET আর প্রতিযোগিতার ধুয়া তুলে দেশের নব্বই শতাংশ দলিত-দরিদ্র-আদিবাসী ‎জনগোষ্ঠীর নিকট উচ্চশিক্ষার দরজাকে বন্ধ করে দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে৤ ‎তাদের আজও ভাবার গরজ নেই-- ত্রিপুরার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে বাংলা মাধ্যম ‎চালু থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামার জন্য যোগ্যতা থাকা সত্বেও একমাত্র ‎ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ৤ ‎পরিণামে ত্রিপুরার জাতি-উপজাতি-সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল ‎অংশের ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা ও মাতৃ সংস্কৃতির সুযোগ কার্যত ‎হারিয়ে যাবে একদিন৤ ‎

সংবিধানের অষ্টম তফশীলের অন্তর্ভুক্ত যে-কোন আঞ্চলিক ভাষার ‎জনগণকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ প্রদান করার রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব ‎সংশ্লিষ্ট সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানের৤ যেখানে বিশ্বভারতীর মতো কেন্দ্রীয় ‎বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলাভাষার মাধ্যমে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে, ত্রিপুরার মতো ‎একটি পশ্চাদ্‌পদ রাজ্যে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা লাভের ‎সুযোগ থাকবে না কেন? যদি এ পথ সংকুচিত হয়, তাহলে আগামীদিনে ‎সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়ানক বৈষম্য-সংকটের মুখোমুখি হবে ‎দেশ৤ আর তার জন্য কী দায়িত্ব নেবে এই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়! বস্তুত এই ‎সংকট মুহূর্তে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বর্তমান আদেশনামার পুনর্বিবেচনা করুক ‎ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়৤ ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও উচ্চশিক্ষার ‎পূর্বতন ব্যবস্থা চালু রাখুক সে৤ সেই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ মানুষের ‎স্বার্থে মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষালাভের অধিকারকে সুরক্ষিত করুক৤ ‎

‎--------------------------------‎

মাতৃভাষা মিশন, ধলেশ্বর, রোড নং-৭ এর পক্ষে শ্রী রাজমোহন দেবনাথ কর্তৃক ‎প্রকাশিত ও কালার্স, আগরতলা থেকে মুদ্রিত আগস্ট ২০০৯

‎==========================‎

আমাদের মন্তব্য:

লক্ষ্য:‎

শিক্ষার অধিকার→ মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার→ উচ্চশিক্ষার অধিকার→ উন্নত ‎শিক্ষার অধিকার৤ ‎



নোট: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতেও বাংলায় উচ্চশিক্ষার অধিকার রহিত ‎করা হয়েছে৤ ‎





ভারতে নিজের বিজ্ঞান চর্চা ও শিল্প প্রসার মৌলিক নয়, দীর্ঘ পরাধীনতার রেশ কাটেনি, ‎কাটাবার প্রয়াসও কম, তাই ইংরেজির জন্য সকলকিছু নিবেদিত৤ চিন জাপান ‎রাশিয়া ইত্যাদি দেশগুলি ইংরেজি জানে না, অথচ তারা প্রথম সারির দেশ৤ ‎আমরা ইংরেজি শেখায় লাভ হচ্ছে ইংরেজিভাষী দেশগুলির আর আমরা ‎আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শিক্ষিত মানুষ তৈরি করে বিদেশে চালান দিচ্ছি৤ ‎




===============

No comments: