বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
=======================
অন্য সংগঠনের প্রচার পুস্তিকা থেকে উদ্ধৃতি-
মাতৃভাষা মিশন, ত্রিপুরার দাবি
=================
মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষার অধিকার চাই
মাতৃভাষা মিশন
ধলেশ্বর, আগরতলা
পশ্চিম ত্রিপুরা
অনার্স ও স্নাতোকোত্তর স্তরে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও পঠন পাঠনের যে নিয়ম দীর্ঘদিন চালু ছিল, সম্প্রতি এক আদেশমূলে তা বাতিল করে দিয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ, ছাত্র যুবসমাজ, শিক্ষক-অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবী মহল প্রবল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা মাধ্যমেও উন্নত ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ দাবি করে কলেজে কলেজে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছেন বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যসরকার এই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া নব্বই শতাংশ মানুষের স্বার্থে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ চালু রাখার জন্য জরুরি চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজির আধিপত্য থাকলেও মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের দাবিকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা যায় না শিক্ষাকে সর্বাত্মক ও বহুমুখী সার্থকতায় পৌঁছে দিতে গেলে মাতৃভাষার সাহায্য ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই আর এজন্যই মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসাবে সংবিধানে স্বীকৃত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আদেশনামা যেন মানুষের এই মৌলিক অধিকারের মাঝে এক দেয়াল তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামা যদি অবিলম্বে বাতিল করা না হয়, তার পরিণাম হবে ভয়াবহ
শুধু ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার রাস্তা সংকুচিত করা হলে, পরিণামে সাধারণ মানুষের কাছে শিক্ষা হয়ে উঠবে অধরা সোনার হরিণ! সমাজের কতিপয় উচ্চবর্গ-আমলা-সুবিধাভোগী-কুলীন-এলিট জনগোষ্ঠীর কুক্ষিগত হয়ে পড়বে উচ্চশিক্ষা এটা কোন সরকারের কাম্য হতে পারে না যেখানে স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে ত্রিভাষা নীতির মূল উদ্দেশ্যই হল আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি করে গুণগত ও উচ্চশিক্ষার বিস্তারসাধন, সেখানে বহু শ্রম ও স্বপ্নে গড়া ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আজ কেন্দ্রীয় মহিমায় ভূষিত হয়ে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার অধিকারটুকু কেড়ে নিতে চাইছে উচ্চশিক্ষাকে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত করে নিতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়!
স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষের স্বার্থে আঞ্চলিক ভাষায় উচ্চ ও গুণগত শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোন উদ্যোগই কার্যত গ্রহণ করেনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মতো প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি করে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন চেষ্টাই হয়নি দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের নামে একের পর এক দেশের মাটিতে মার্কিনী মস্তিষ্ক তৈরি করার কারখানা নির্মাণ করে দেশের উন্নত মেধাগুলিকে বিদেশের বাজারে চালান দেওয়ার আয়োজন করছে শাসক প্রভুরা মাতৃভাষাকে এভাবে দিনকে দিন দুর্বল করে রেখে উচ্চশিক্ষাকে ইংরেজির আস্তরণ দিয়ে মুষ্টিমেয় লোকের কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে মাতৃভাষার প্রতি বিশ্বাসভঙ্গকারী দেশের এইসব প্রভুরা আজও NET SLET আর প্রতিযোগিতার ধুয়া তুলে দেশের নব্বই শতাংশ দলিত-দরিদ্র-আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিকট উচ্চশিক্ষার দরজাকে বন্ধ করে দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে তাদের আজও ভাবার গরজ নেই-- ত্রিপুরার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে বাংলা মাধ্যম চালু থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামার জন্য যোগ্যতা থাকা সত্বেও একমাত্র ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ পরিণামে ত্রিপুরার জাতি-উপজাতি-সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল অংশের ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা ও মাতৃ সংস্কৃতির সুযোগ কার্যত হারিয়ে যাবে একদিন
সংবিধানের অষ্টম তফশীলের অন্তর্ভুক্ত যে-কোন আঞ্চলিক ভাষার জনগণকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ প্রদান করার রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানের যেখানে বিশ্বভারতীর মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলাভাষার মাধ্যমে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে, ত্রিপুরার মতো একটি পশ্চাদ্পদ রাজ্যে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থাকবে না কেন? যদি এ পথ সংকুচিত হয়, তাহলে আগামীদিনে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়ানক বৈষম্য-সংকটের মুখোমুখি হবে দেশ আর তার জন্য কী দায়িত্ব নেবে এই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়! বস্তুত এই সংকট মুহূর্তে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বর্তমান আদেশনামার পুনর্বিবেচনা করুক ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও উচ্চশিক্ষার পূর্বতন ব্যবস্থা চালু রাখুক সে সেই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ মানুষের স্বার্থে মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষালাভের অধিকারকে সুরক্ষিত করুক
--------------------------------
মাতৃভাষা মিশন, ধলেশ্বর, রোড নং-৭ এর পক্ষে শ্রী রাজমোহন দেবনাথ কর্তৃক প্রকাশিত ও কালার্স, আগরতলা থেকে মুদ্রিত আগস্ট ২০০৯
==========================
আমাদের মন্তব্য:
লক্ষ্য:
শিক্ষার অধিকার→ মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার→ উচ্চশিক্ষার অধিকার→ উন্নত শিক্ষার অধিকার
নোট: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতেও বাংলায় উচ্চশিক্ষার অধিকার রহিত করা হয়েছে
ভারতে নিজের বিজ্ঞান চর্চা ও শিল্প প্রসার মৌলিক নয়, দীর্ঘ পরাধীনতার রেশ কাটেনি, কাটাবার প্রয়াসও কম, তাই ইংরেজির জন্য সকলকিছু নিবেদিত চিন জাপান রাশিয়া ইত্যাদি দেশগুলি ইংরেজি জানে না, অথচ তারা প্রথম সারির দেশ আমরা ইংরেজি শেখায় লাভ হচ্ছে ইংরেজিভাষী দেশগুলির আর আমরা আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শিক্ষিত মানুষ তৈরি করে বিদেশে চালান দিচ্ছি
===============
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet
setting)
(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)
on
internet(Mozilla Firefox)
(top
left) Tools
Options > contents
Fonts & Colors
Default font:=AhanLipi-Bangla14
Advanced...
Fonts for:
=Bengali
Proportional
= Sans Serif, Size=20
Serif=AhanLipi-Bangla14
Sans
Serif=AhanLipi-Bangla14
Monospace=AhanLipi-Bangla14, Size=20
-->OK
Languages
Choose your preferred Language for
displaying pages
Choose
Languages in order of preference
Bengali[bn]
-->OK
--> OK
এবারে
ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে
=======================
অন্য সংগঠনের প্রচার পুস্তিকা থেকে উদ্ধৃতি-
মাতৃভাষা মিশন, ত্রিপুরার দাবি
=================
মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষার অধিকার চাই
মাতৃভাষা মিশন
ধলেশ্বর, আগরতলা
পশ্চিম ত্রিপুরা
অনার্স ও স্নাতোকোত্তর স্তরে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও পঠন পাঠনের যে নিয়ম দীর্ঘদিন চালু ছিল, সম্প্রতি এক আদেশমূলে তা বাতিল করে দিয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রতিটি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ, ছাত্র যুবসমাজ, শিক্ষক-অভিভাবক ও বুদ্ধিজীবী মহল প্রবল প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা মাধ্যমেও উন্নত ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ দাবি করে কলেজে কলেজে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছেন বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে রাজ্যসরকার এই রাজ্যের পিছিয়ে পড়া নব্বই শতাংশ মানুষের স্বার্থে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ চালু রাখার জন্য জরুরি চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইংরেজির আধিপত্য থাকলেও মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের দাবিকে কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা যায় না শিক্ষাকে সর্বাত্মক ও বহুমুখী সার্থকতায় পৌঁছে দিতে গেলে মাতৃভাষার সাহায্য ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই আর এজন্যই মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভ প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার হিসাবে সংবিধানে স্বীকৃত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আদেশনামা যেন মানুষের এই মৌলিক অধিকারের মাঝে এক দেয়াল তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামা যদি অবিলম্বে বাতিল করা না হয়, তার পরিণাম হবে ভয়াবহ
শুধু ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার রাস্তা সংকুচিত করা হলে, পরিণামে সাধারণ মানুষের কাছে শিক্ষা হয়ে উঠবে অধরা সোনার হরিণ! সমাজের কতিপয় উচ্চবর্গ-আমলা-সুবিধাভোগী-কুলীন-এলিট জনগোষ্ঠীর কুক্ষিগত হয়ে পড়বে উচ্চশিক্ষা এটা কোন সরকারের কাম্য হতে পারে না যেখানে স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে ত্রিভাষা নীতির মূল উদ্দেশ্যই হল আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি করে গুণগত ও উচ্চশিক্ষার বিস্তারসাধন, সেখানে বহু শ্রম ও স্বপ্নে গড়া ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আজ কেন্দ্রীয় মহিমায় ভূষিত হয়ে মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষার অধিকারটুকু কেড়ে নিতে চাইছে উচ্চশিক্ষাকে বিশেষ শ্রেণিভুক্ত করে নিতে উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়!
স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষের স্বার্থে আঞ্চলিক ভাষায় উচ্চ ও গুণগত শিক্ষা বিস্তারের জন্য কোন উদ্যোগই কার্যত গ্রহণ করেনি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের মতো প্রয়োজনীয় পরিভাষা সৃষ্টি করে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষাকে আঞ্চলিক ভাষার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কোন চেষ্টাই হয়নি দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারের নামে একের পর এক দেশের মাটিতে মার্কিনী মস্তিষ্ক তৈরি করার কারখানা নির্মাণ করে দেশের উন্নত মেধাগুলিকে বিদেশের বাজারে চালান দেওয়ার আয়োজন করছে শাসক প্রভুরা মাতৃভাষাকে এভাবে দিনকে দিন দুর্বল করে রেখে উচ্চশিক্ষাকে ইংরেজির আস্তরণ দিয়ে মুষ্টিমেয় লোকের কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে মাতৃভাষার প্রতি বিশ্বাসভঙ্গকারী দেশের এইসব প্রভুরা আজও NET SLET আর প্রতিযোগিতার ধুয়া তুলে দেশের নব্বই শতাংশ দলিত-দরিদ্র-আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নিকট উচ্চশিক্ষার দরজাকে বন্ধ করে দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে তাদের আজও ভাবার গরজ নেই-- ত্রিপুরার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে বাংলা মাধ্যম চালু থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আদেশনামার জন্য যোগ্যতা থাকা সত্বেও একমাত্র ভাষার কারণে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন লক্ষ লক্ষ মানুষ পরিণামে ত্রিপুরার জাতি-উপজাতি-সংখ্যালঘু এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল অংশের ছেলেমেয়েদের মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা ও মাতৃ সংস্কৃতির সুযোগ কার্যত হারিয়ে যাবে একদিন
সংবিধানের অষ্টম তফশীলের অন্তর্ভুক্ত যে-কোন আঞ্চলিক ভাষার জনগণকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ প্রদান করার রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানের যেখানে বিশ্বভারতীর মতো কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও বাংলাভাষার মাধ্যমে পড়াশুনার সুযোগ রয়েছে, ত্রিপুরার মতো একটি পশ্চাদ্পদ রাজ্যে ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষায় উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থাকবে না কেন? যদি এ পথ সংকুচিত হয়, তাহলে আগামীদিনে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়ানক বৈষম্য-সংকটের মুখোমুখি হবে দেশ আর তার জন্য কী দায়িত্ব নেবে এই স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়! বস্তুত এই সংকট মুহূর্তে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে বর্তমান আদেশনামার পুনর্বিবেচনা করুক ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজির পাশাপাশি মাতৃভাষার মাধ্যমেও উচ্চশিক্ষার পূর্বতন ব্যবস্থা চালু রাখুক সে সেই সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ মানুষের স্বার্থে মাতৃভাষায় উন্নত ও উচ্চ শিক্ষালাভের অধিকারকে সুরক্ষিত করুক
--------------------------------
মাতৃভাষা মিশন, ধলেশ্বর, রোড নং-৭ এর পক্ষে শ্রী রাজমোহন দেবনাথ কর্তৃক প্রকাশিত ও কালার্স, আগরতলা থেকে মুদ্রিত আগস্ট ২০০৯
==========================
আমাদের মন্তব্য:
লক্ষ্য:
শিক্ষার অধিকার→ মাতৃভাষায় শিক্ষার অধিকার→ উচ্চশিক্ষার অধিকার→ উন্নত শিক্ষার অধিকার
নোট: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতেও বাংলায় উচ্চশিক্ষার অধিকার রহিত করা হয়েছে
ভারতে নিজের বিজ্ঞান চর্চা ও শিল্প প্রসার মৌলিক নয়, দীর্ঘ পরাধীনতার রেশ কাটেনি, কাটাবার প্রয়াসও কম, তাই ইংরেজির জন্য সকলকিছু নিবেদিত চিন জাপান রাশিয়া ইত্যাদি দেশগুলি ইংরেজি জানে না, অথচ তারা প্রথম সারির দেশ আমরা ইংরেজি শেখায় লাভ হচ্ছে ইংরেজিভাষী দেশগুলির আর আমরা আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে শিক্ষিত মানুষ তৈরি করে বিদেশে চালান দিচ্ছি
===============
No comments:
Post a Comment