Tuesday, February 22, 2011

বাভাস৤বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা,১ম বর্ষ,১ম সংখ্যা, ফেব্রুয়ারি ২০১১





বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন :--


https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip




অহনলিপি-বাংলা১৪ ডিফল্ট ইন্টারনেট সেটিং
(AhanLipi-Bangla14 Default Internet setting)

(Default font setting ডিফল্ট ফন্ট সেটিং)

on internet(Mozilla Firefox)
(top left) Tools  
              Options > contents
              Fonts & Colors
              Default font:=AhanLipi-Bangla14
                        Advanced...
                                    Fonts for: =Bengali
                                    Proportional = Sans Serif,   Size=20
                                    Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Sans Serif=AhanLipi-Bangla14
                                    Monospace=AhanLipi-Bangla14,  Size=20
                                    -->OK
            Languages
            Choose your preferred Language for displaying pages
            Choose
            Languages in order of preference
            Bengali[bn]
            -->OK
  --> OK

          এবারে ইন্টারনেট খুললে ‘অহনলিপি-বাংলা১৪’ ফন্টে সকলকিছু দেখা যাবে৤ নেটে একই ফন্টে সব কিছু লেখাও যাবে৤






বাংলাভাষা

সমিতির

পত্রিকা



 বাভাস



প্রকাশ শুরু

হল৤

==========================





১ম বর্ষ     বাভাস    ১ম সংখ্যা


বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র
৯১/২, ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু রোড, মণীশ পার্ক,
কোলকাতা- ৭০০ ০৩৯

ফেব্রুয়ারি-২০১১







বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার, প্রচল এবং পরিসেবা বিষয়ক জনসংস্থা

বাংলাভাষা শহিদদের প্রতি আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই৤
সম্পাদক:পরিমল রায়       
 কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত    ২৩৪৩-৪৬৮৬    

  মূল্য- ৳ ১০/-










আহ্বান--

        বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র ’বাভাস‘
এখানে লেখার, আলোচনা করার জন্য সকলকে আহ্বান জানাই৤ সবাই স্বাগত৤ সুস্থ সুন্দর ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সকলে এগিয়ে আসুন৤
      যেকেউ নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় এখানে আসতে পারেন, আমরা সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি৤ আমরা চাই মানুষের পক্ষে, সুস্থ সাহিত্য সংস্কৃতি ও সমাজের পক্ষে সকলে সরব হোন৤ আমাদের সঙ্গে সকলে গলা মেলান৤

     ৔
     ☼
পত্রিকা প্রকাশে যাঁদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সাহায্য
পাওয়া গেছে তাঁদের সকলকে অশেষ ধন্যবাদ



অচিন কবি---
কালো হরিণ চোখ

কালো হরিণ চোখ
কতক কতক
হবেই তো বটে
তাই বলে ছিঃ,
একটু কি নেই বুদ্ধিও তোর ঘটে৤

হরিণ হরিণ চোখ
হোক কিছু হোক
হবেই কতক
তাই বলে তোর
আঁখির লহর
ছুটিয়ে দিলি মনের ভিতর!



বাভাস-২








বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র৤
         ফেব্রুয়ারি-২০১১

 সম্পাদকীয়
      বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র ”বাভাস“ প্রকাশনা শুরু হল৤ প্রথম সংখ্যায় খ্যাত কবিদের কবিতার কিছু অংশ উল্লেখ করে পদপাত হল৤ প্রথমে যতীন্দ্রমোহন বাগচীর ”বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই--“ তারপরে কুসুমকুমারী দাশ এবং জীবনানন্দ দাশ পাশাপাশি বাংলার বিখ্যাত দুই কবি-- মা ও ছেলে৤
   পাঠকদের আহ্বান করছি পত্রিকায় লিখতে, সম্পাদকগোষ্ঠীর মনোনয়নের পরে তাঁদের লেখা প্রকাশিত হবে৤
        শুভমনা মানুষ, সংস্কৃতি সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, জ্ঞানচারীগণের আমরা শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি৤ বাংলাভাষা সমিতি-- বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার, প্রচল এবং পরিসেবা বিষয়ক জনসংস্থা৤   রাজনীতি বর্জিত৤ আমরা চাই সকল ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সম্মানিত সমান অধিকার৤
আমরা কারও বিরুদ্ধে নই, আমরা আমাদের পক্ষে
        সকলের শুভেচ্ছাই হবে আমাদের চলার পথের পাথেয়৤
        বাংলাভাষা সমিতির একটি নিজস্ব ইন্টারনেট ওয়েব-ব্লগ আছে, সেখানে পত্রিকাটিও নিয়মিত প্রকাশিত হবে৤ http://banglabhashasamiti.blogspot.com/   সকলে তাঁদের মূল্যবান মতামত ব্লগে বা পত্রিকায় প্রকাশ করতে পারেন৤





শহিদমিনার-- ঢাকা,বাংলাদেশ


২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১, সোমবার৤ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস৤


বাভাস-৩









রবীন্দ্রনাথের১৫০বছর উপলক্ষ্যে আমরা তাঁর
অসীম সৃষ্টির দিকে অপার বিস্ময়ে তাকিয়ে আছি৤
------------------------------------

আমাদের পাকবে না চুল গো--
মোদের পাকবে না চুল৤
আমাদের ঝরবে না ফুল গো--
মোদের ঝরবে না ফুল৥
আমরা ঠেকব না তো কোনো শেষে,
ফুরোয় না পথ কোনো দেশে রে,
আমাদের ঘুচবে না ভুল গো--
মোদের ঘুচবে না ভুল৥
আমরা নয়ন মুদে করব না ধ্যান
করব না ধ্যান৤
নিজের মনের কোণে খুঁজব না জ্ঞান
খুঁজব না জ্ঞান৤
আমরা ভেসে চলি স্রোতে স্রোতে
সাগর-পানে শিখর হতে রে,
আমাদের মিলবে না কূল গো--
মোদের মিলবে না কূল৥
----




বাভাস-৪








এসো দূষণ মুক্ত করি
স্বপন বিশ্বাস

শুনতে পাচ্ছ তোমরা ...
       সসীম পার হতে সমুদ্রের মহাগর্জন--
       যেন তার অন্তিম ঘোষণার জানান৤
ভয়ঙ্কর এক সতর্কতায় যে ফুঁসছে,
পৃথিবীর গতি স্তিমিত হয়ে আসছে৤
বিশ্বপ্রাণ মথিত হবে ধ্বংসের রোষানলে
        বেসাতি বিজ্ঞানের তাণ্ডবলীলায়--
একদিন রুপান্তরিত হবে মহা সমাধিক্ষেত্রে
কুৎসিত অন্ধকারে হারিয়ে যাবে--
কবিতা, ফুল, গান আর ভালোবাসা৤
আমাদের নেত্রবিহীন দায়বদ্ধতায়--
হয়তো একদিন অন্ধকারের অশ্লীল গরাদে
        লাঞ্ছিত হবে আলো৤
পৃথিবীর অক্সিজেন নিঃশেষ হওয়ার আগে
সব আদিমতা মুছে এস সবুজের আবাদ করি
সংগ্রামী চেতনায় জ্বালো সৃষ্টির পবিত্র প্রদীপ
ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় উজ্জ্বল হোক
                        শিশুর মুখ৥







পৃথিবীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে হলে ফিরে যেতে হবে ১৯৬০-এর জনসংখ্যায়৤ছিল ২৯৮ কোটি, ৪৯ বছরে ২.২৭ গুণ বেড়ে ২০০৯-এর শেষে তা ৬৭৭ কোটি৤ জনবৃদ্ধি দূষণের উৎস৤

●রচনা সংক্ষেপে এক পৃষ্ঠায় লিখুন●

বাভাস-৫







ভাইজ্যাগ ভ্রমণ
সঞ্চিতা মিত্র

ট্রেন লেট ৮ঘণ্টা, পৌঁছোলাম বিশাখাপত্তনম, তখন রাত দেড়টা৤হোটেল দূরে, তাই এক জনের সহৃদয় পরামর্শে স্টেশনেই রাত কাটালাম৤ঘুম কি হয়, বসেই কেটে গেল রাত৤
ভোরে প্রাতরাশ সেরে কিরণডুল এক্সপ্রেসে ৮ঘণ্টার পথ৤ট্রেন ফাঁকাই৤ঘনিষ্ঠ আলাপ হল ব্যানার্জিকাকুদের সঙ্গে, তাঁরা জগদলপুরেরই বাসিন্দা৤ট্রেনে পাহাড়ি পথ৤ দুপাশে পাহাড় আর টিলা৤কখনও সবুজ কখনও রুক্ষ৤ট্রেন বৃত্তাকারে চলছে৤ভীষণ আনন্দ হচ্ছে৤ কোনও স্টেশনে ট্রেন থামলে ছোট বাচ্চারা কাঁঠাল বিক্রি করছে৤বিশাল কাঁঠাল, মাত্র ১০ টাকা!
          অনেকগুলো সুড়ঙ্গপথ পেরিয়ে আমরা প্রায় সন্ধে ৭টায় জগদলপুর এলাম৤খেয়েদেয়ে হোটেলে শুয়ে পড়লাম৤পরদিন ট্যাক্সিতে গেলাম দণ্ডেশ্বরী মন্দির, ট্রাইবাল মিউজিয়াম৤ পরে চিত্রকুট ঝরনার দিকে গাড়ি এগোচ্ছে, নয়নাভিরাম দৃশ্য৤ চোখ জুড়িয়ে গেল সবুজ গাছপালা, ক্ষেত মাঝে ছোট ছোট ঘরবাড়ি, একেবারে গ্রাম্য প্রকৃতি৤তবে তা বাংলার থেকে বেশ আলাদা৤ড্রাইভার অমায়িক লোক, ফলে ঘোরাটাও আলাদা মাত্রা পাচ্ছিল৤চিত্রকুট পাহাড়ের মাথা থেকে জলের অবিরাম ধারা নেমে আসছে অবাধ্য দুরন্ত গতিতে৤দেখে সমীহ করতে হয়,কাছে যেতে ভয় করে৤ছবি তোলার পর্ব শেষে চললাম তিরোদগড় ঝরনার অভিমুখে৤এ ঝরনা যেন পাশের বাড়ির মেয়ে, উচ্ছ্বল চঞ্চল-- যেন বলে ’এসো আমাতে মেশো, অবগাহন করো আমার শীতল ধারায়৤‘ সুন্দর মিষ্টি এক ঝরনা৤অনেকেই স্নান করছে৤পা ডুবিয়ে স্পর্শ পেলাম তার৤
          পরদিন প্রাতরাশ সেরে বেরোলাম৤ বোড়াগুহা যাব৤অনেক বাঁক ঘুরে এগোচ্ছে গাড়ি, বামদিকে অগভীর খাদ৤ছবির মতো সুন্দর উপত্যকা৤
(পরের অংশ ১১ পৃষ্ঠায় )

বাভাস-৬






বর্ণমালা
লিলি হালদার

তোমার ঘ্রাণে বর্ণমালা
শিউলি হয়ে ঝরে--
সবুজ বুকে --  লাল আভা
ভাষার অধিকারে৤

লিলি হালদার
বাংলাভাষা সমিতির সদস্য৤ পুরস্কার প্রাপ্ত কবি৤
’পূর্ণগ্রাস‘ কাব্য গ্রন্থের জন্য ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক সম্মানিত৤

=========================

উর্দু থেকে অনুবাদ:শিবরঞ্জন মণ্ডল
অভয়
মহম্মদ ইকবাল

আকাশ পারে ভুবন আছে আরও
প্রেমের পরখ অবশিষ্ট আরও৥

জীবন-অসার ভ্রান্ত এ মনন
সহযাত্রী হেথায় আছে আরও৥
ভবের-রসে কেন আর নিমগন
ফুল বাগিচায় আবাস আছে আরও৥
নভোচর তুই, ওড় শুধু উড়ান
সামনে ধুধু-আকাশ আছে আরও৥
এমনি দিনে তোর কেন বিভ্রম
ঘর-সংসার তোর আছে আরও৥
আসরে কাল ছিনু হতোদ্যম
অভয়দাত্রী হেথায় আছে আরও৥

বাভাস-৭







হয়ে ওঠা
মানস চক্রবর্তী

তোমার ঠোঁটে রঙিন সুরা,
       আমার রক্ত ঘামে,
তোমার ঠাণ্ডা ঘরে শোয়া
       আমার পরিশ্রমে৤
নামি-দামি তক্‌মা তোমার
       আমি কারিগর,
আমারই প্রাণপাতে তোমার
       চড়া বাজার দর৤
আমার পদযাত্রাপথে
       চালাও তুমি গাড়ি,
আমার গড়া ইটে তোমার
       প্রাসাদ সম বাড়ি৤
তোমার রসদ সংগৃহীত
       আমার লাঙল-টানে,
অঙ্গে আমার তেল কালি ঘাম
       তুমি শুদ্ধ স্নানে৤
সিধে সরল আমার জীবন
       তোমার ভরা কেতায়,
তোমার সচ্ছলতা জেনো
       আমার সচলতায়৤
সব প্রতিকূল পরিস্থিতি
       সামলে নেব আমি,
তুমি কিন্তু সেদিন অচল,
       আমি যেদিন থামি৤
তোমার ’হয়ে-ওঠার‘ রহস্যটা
       জানবে যেদিন লোকে,
কাঁদবে কিছু শেয়াল কুকুর
     অচল-তোমার শোকে৤

বাভাস-৮







রং-চুরি
সুভাষ ভদ্র

আকাশ দেখার লোভে
মাঠে আসি, ফেটে পড়ি ক্ষোভে
           তার নীল রংটা কই--
চুরি হয়ে গেছে বহু দিন হল,
ও ঈশ্বর, এবার দরজা খোল
   তোমার অন্দরমহলটা দেখবই৤

    সেখানেও কি ঘোলাটে সব
    দিনরাত কোঁদল, মারণোৎসব!
তোমাকে কি ফেলে দেওয়া যায় ঠেলে?
       হাট বাজারের পাক্কা খবর
       তুমি নাকি খুবই সুন্দর
কবিরাও তো একই কথা বলে৤






 মুহাম্মদ ইউনুস(বাংলাদেশ)
 শান্তির নোবেল পুরস্কার(২০০৬) হাতে



শহিদমিনার-- ঢাকা,বাংলাদেশ
২১শে ফেব্রুয়ারি, ২০১১


বাভাস-৯







তুমি কি প্রতীক্ষা করবে?
সুভাষচন্দ্র দত্ত

তুমি কি আমার জন্য প্রতীক্ষা করবে?
পারবে?
হতাশায় ভেঙে পড়বে না তো
যদি শোন যুদ্ধক্ষেত্রে আমি নিখোঁজ৤
সাগর থেকে আমার
মাছধরা নৌকোটা ফেরেনি,
সুন্দরবনে কাঠ কাটতে গিয়ে
আমি হারিয়ে গেছি,
যে রকেটটা আমাকে নিয়ে
মহাশূন্যে ঘুরছে
সেটা ফিরে না-ও আসতে পারে৤
সমুদ্রের নীচে ঝিনুকের পেট চিরে
মুক্তো আন্‌তে গিয়ে
আমি উঠছি না তো,
কয়লা ভাঙতে নেমেছি যে খাদে
সেখানে ধস নেমেছে,
যে বিমানে দেশান্তরে পাড়ি দিলাম
সেটা পাহাড়ে ধাক্কা খেয়েছে,
কোন্ সকালে অফিস বেরিয়েছি
এখনো ফিরছি না তো,
থালায় ভাত বেড়ে--
তুমি কি আমার জন্য
প্রতীক্ষা করবে?
পারবে?

২৭/০১/২০১১


বাভাস-১০






( পৃষ্ঠার পরে )
ডানদিকে অনুচ্চ টিলা কফিগাছে ভরে আছে৤আমরা গেলাম জিরো পয়েন্ট৤
সেখানে ওখানকার গ্রাম্য নারীপুরুষ কফি বিক্রি করছে৤কেনাকাটা সেরে প্রায় দুপুরে বোড়াগুহায় পৌঁছালাম৤ এ এক প্রকৃতির আশ্চর্য খেয়াল৤ স্ট্যালাকটাইট ও স্ট্যালাগমাইটের এক জীবন্ত ভাস্কর্য৤তীব্র কটু গন্ধ, ভিতরে বাদুড় দেখলাম৤ আশেপাশে অনেক হনুমান৤
পরে প্রায় সন্ধেবেলায় পৌঁছোলাম টায়ডা৤ অসাধারণ আবহাওয়া, সাথে প্রকৃতির অকৃপণ সৌন্দর্য৤বাজার এলাকা বেশ জমজমাট, ঘুরে ফিরে রাতে হোটেলে ফিরলাম৤
      বনের মধ্যে টয়ডায় সরকারি রেস্ট হাউস, বনের অনেকটাই মনুষ্যনির্মিত৤ একটা বড় গাছের উপরে কাঠের ঘর৤ সেখানে আমাদের থাকার ব্যবস্থা৤চারিদিক কাচ দিয়ে ঘেরা৤ প্রকৃতির মাঝে বসবাস একটা বেশ আলাদা অভিজ্ঞতা৤ ঠান্ডা হাওয়ায় জঙ্গুলে গন্ধ৤বেশ কিছু হনুমানেরও দেখা মিলল, তাড়াও খেলাম একটার৤ দুপুরে রেস্টহাউসেই খাওয়াদাওয়া৤ মশলাদার হলেও বেশ সুস্বাদু৤ইডলি, দোসা, উপমা, বড়া প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়৤ দুদিন জঙ্গলবাড়িতে কাটিয়ে বিশাখাপত্তনম, সেখানে সমুদ্র আছে আমাদের অপেক্ষায়৤দুপুরে এলাম ওয়ালটেয়ার তথা বিশাখাপত্তনমে৤ লটবহর হোটেলে রেখে বেরোলাম কৈলাশগিরি দেখতে৤অনুচ্চ এক পাহাড় চারপাশে অনেক দোকানপাট, পাশেই বাজার৤রোপওয়ে করে পাহাড়ের মাথার পার্কে গেলাম৤এত ভিড় যেন বিশাল এক মেলা৤ কেয়ারি করা গাছ, বিশাল শিবপার্বতী মূর্তি, ফোয়ারা৤চূড়া থেকে পুরো শহরটাই চোখে পড়ে৤পরদিন যাবার ছিল ঋষিকোণ্ডা সমুদ্রতটে যেখানে ঢেউ পাথরের বিশাল বিশাল বোল্ডারে ধাক্কা মারছে৤ বেশ চওড়া সমুদ্রতট৤ডলফিন নোজ-এ যাওয়ার সময় ছিল না৤ এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আমরা ফিরলাম মাদ্রাজ মেলে চড়ে৤সঙ্গে রইল একরাশ টাটকা স্মৃতি৤


বাভাস-১১









বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র
ফেব্রুয়ারি-২০১১
হেমচন্দ্র ইনস্টিটিউশন
স্থাপিত: ১৯৬৮
৫ম -৮ম শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
ছাত্রদের জন্য
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
----------০----------
তিলজলা বালিকা বিদ্যালয়
স্থাপিত: ১৯৫৬
১ম -১২শ শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
কলা ও বাণিজ্য
ছাত্রীদের জন্য
১ম ও ৫ম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
----------০----------
তিলজলা ব্রজনাথ বিদ্যাপীঠ
স্থাপিত: ১৯৫৪
৫ম -১২শ শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য
ছাত্রদের জন্য৤ ১১-১২ সহশিক্ষা
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
----------০----------           
তিলজলা হাই স্কুল
স্থাপিত: ১৯৫১
৫ম - ১২শ শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
কলা, বিজ্ঞান, বাণিজ্য
ছাত্রদের জন্য
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
----------০----------
বিজয়নগর হাই স্কুল
স্থাপিত: ১৯৬৩
৫ম -১০ম শ্রেণি
পঃবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ
ছাত্রদের জন্য
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
----------০----------
বিজয়নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়
স্থাপিত: ১৯৫৭
১ম -৪র্থ শ্রেণি
পঃবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
ছাত্র-ছাত্রীদের সহ শিক্ষা
প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হয়৤
         
বাভাস-১২






পাঠক বলেন --
  (মতামত)
এই বিভাগে পত্রিকায় প্রকাশিত লেখা নিয়ে পাঠক তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন,পরামর্শ দেবেন যাতে পত্রিকা আরও ভালো এবং সুন্দর করা যায়৤

(১)
প্রচারের জন্য জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান, স্কুল, লাইব্রেরি আমাদের কাছে তাঁদের তথ্য জমা দিন৤
(২)

ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষা হল বাংলা, সব কাজ বাংলায় করুন

মাতৃভাষার অধিকার জন্মগত অধিকার৤

ভাষাই হল জীবন-জীবিকার মূল হাতিয়ার৤

পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মানুষ বাংলায় জাতীয় সংগীত গায়৤

  রাষ্ট্রসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষা হল: আরবি, ইংরেজি, চিনা, ফরাসি, রুশ, স্প্যানিশ

  বাংলা হোক রাষ্ট্রসংঘের সপ্তম
    ☼  দাপ্তরিক ভাষা(Official Language)

বাংলা ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার প্রচল ও পরিসেবা বিষয়ে আমরা সকলের কাছ থেকে উৎসাহব্যঞ্জক পরিকল্পনা ও প্রকল্প আহ্বান করছি৤ পরিকল্পনা ও প্রকল্প সম্পাদকের কাছে জমা দিতে হবে৤


            বাভাস-১৩






কাজলা দিদি
যতীন্দ্রমোহন বাগচী 

বাঁশবাগানের মাথার উপর চাঁদ      উঠেছে ওই--
মাগো, আমার শোলক-বলা কাজ্‌লা      দিদি কই?
পুকুর ধারে, নেবুর তলে  
থোকায় থোকায় জোনাই জ্বলে,--
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা      জেগে রই;
মাগো, আমার কোলের কাছে কাজ্‌লা      দিদি কই?
----------০----------

আদর্শ ছেলে
কুসুমকুমারী দাশ

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে?
কথায় না বড় হ‘য়ে কাজে বড় হবে;
মুখে হাসি, বুকে বল, তেজে ভরা মন,
’মানুষ‘ হইতে হবে,-- এই তার পণ৤




কুসুমকুমারী দাশের বড় ছেলে
কবি জীবনানন্দ দাশ

বাভাস-১৪








বনলতা সেন
জীবনানন্দ দাশ

হাজার বছর ধ‘রে আমি পথ            হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে;
সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের   অন্ধকারে মালয় সাগরে
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর       অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
 আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে      জীবনের সমুদ্র সফেন,
আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিলো      নাটোরের বনলতা সেন৤
----------০----------


রূপসী বাংলা

জীবনানন্দ দাশ 

আবার আসিব ফিরে ধানসিড়িটির              তীরে --এই বাংলায়
হয়তো মানুষ নয়-- হয়তো বা শঙ্খচিল শালিখের বেশে;
হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই        কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব           এ কাঁঠাল ছায়ায়;
হয়তো বা হাঁস হ‘ব -- কিশোরীর--   ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,
সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধ ভরা জলে ভেসে ভেসে;
আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ           ক্ষেত ভালোবেসে
জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়;
 
বাভাস-১৫







১ম বর্ষ   ১ম সংখ্যা
বাংলাভাষা সমিতির মুখপত্র
ফেব্রুয়ারি-২০১১
বাভাস


        পরিণত বয়সে তুলি হাতে ছবি আঁকছেন রবীন্দ্রনাথ

       ছাতিমতলায় প্রার্থনাসভা--পৌষমেলা,শান্তিনিকেতন

তৈত্তিরীয় উপনিষদের বাণী ১৮, ছাতিমতলার লিখন






বাভাস 
বাংলাভাষা সমিতির পত্রিকা 
প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যা
ফেফ্রুয়ারি ২০১১


 




















No comments: